গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বহু নারী এবং শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকেই। গত ১৯ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা। খবর আল জাজিরার।
মঙ্গলবারের হামলায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসে কমপক্ষে ৭৭ জন এবং উত্তর গাজা সিটিতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে। দক্ষিণের দেইর আল-বালাহ এবং রাফাহ শহরের কেন্দ্রস্থলেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অনেক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে পদক্ষেপ নেবে।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৮ হাজার ৫৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১২ হাজার ৪১ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। এছাড়া দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
অভিযানের নামে গাজায় রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, আবাসিক ভবনসহ বেশির ভাগ স্থাপনাই ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
তবে গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, সেখানে ৬১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আর বেঁচে নেই।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ