রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা বার্নে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে ৬ সেনা ও ৮ বিদ্রোহী নিহত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু নেত্রকোণায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯২৭ বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যগামীদের জন্য হচ্ছে ‘স্পেশাল লাউঞ্জ’ ‘হেলমেট বাহিনীর’ সদস্য মনিরুল অস্ত্রসহ গ্রেফতার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতার ‘সাধারণ মানুষ যাতে ইলিশ খেতে পারে, সেই চেষ্টা করতে হবে’ শেরপুরে বন্যায় ৪ মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাওয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের সারা দেশে দুই লক্ষাধিক আনসার মোতায়েন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত পলাতকদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পর এবার সংবিধান বাতিলের দাবি হাসনাতের সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব করেছে জামায়াত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি এক সপ্তাহে তেলের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশ ঘরেই মাদকের কারবার করতেন স্বামী-স্ত্রী, যৌথবাহিনী অভিযানে ধরা

গাইবান্ধায় তলিয়ে গেছে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ফসল

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটাসহ চার উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তীত রয়েছে। ব্রক্ষ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও রয়েছে বিপৎসীমার ওপরে। অন্যদিকে তিস্তার পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। 

জেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, কাউন ও আমন বীজতলাসহ ২ হাজার ৫০০ হেক্টরের অধিক জমির ফসল। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। পানি ওঠায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব এলাকায় বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ আশ্রয়কেন্দ্রে। পানি কমলেও ক্রমেই দুর্ভোগ-ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের।

রবিবার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৩ সেমি হ্রাসের পরও বিপৎসীমার ৭১ সেমি ও ঘাঘট নদীর পানি ১১ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ২৩ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে করতোয়া নদীর পানি ১৪ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১৫৯ সেমি নিচে ও তিস্তার নদীর পানি ১২ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৪ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি প্লাবিত হয়েছে।

জানা যায়, অতিবর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী প্লাবিত এলাকার বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তীত রয়েছে। জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি দ্বিতীয় দফায় বেড়ে আবার তিন নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।

গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা, এই চার উপজেলায় বন্যায় ২৯টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বিপৎসীমার ওপরে থাকায় ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত সদরের কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি এলাকায় প্লাবিত হয়েছে।

পানিবন্দি এসব এলাকার মানুষ শিশু-বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। প্রকট আকার ধারণ করেছে গো-খাদ্যসহ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। কয়েকটি এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় লোকজন আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে অন্যত্র।

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, কাউন ও আমন বীজতলাসহ আড়াই হাজার হেক্টরের অধিক জমির ফসল। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। পানি ওঠায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানি কমলেও দুর্ভোগ-ভোগান্তি পিছু ছাড়ছেনা  বন্যা দুর্গতদের।

প্লাবিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকট। গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশুর খাদ্য নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বন্যা দুর্গতরা। চারিদিকে বন্যার পানি থাকায় ও টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় খাবার পানির তীব্র সংকটে পড়েছে। বন্যার পানি সঠিকভাবে না ফুটিয়ে খাওয়ার কারণে অসুস্থ হচ্ছেন অনেকেই।

জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, পানিবন্দি এসব মানুষের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরমধ্যে সাঘাটা উপজেলায় রয়েছে ৩৬টি, সুন্দরগঞ্জে ৪৮টি, ফুলছড়িতে ২৩টি, সদরে ২৪টি, সাদুল্লাপুরে ৩৩টি, পলাশবাড়ীতে ৬টি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে।

এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতরে বন্যার পানি ওঠায় ইতোমধ্যে সদর উপজেলার ১৭টি, ফুলছড়িতে ১৪টি, সাঘাটায় ২১টি ও সুন্দরগঞ্জে ১১টিসহ জেলার মোট ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি দাখিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও জেলা শিক্ষা বিভাগ।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, চলমান বন্যায় চার উপজেলায় দুই হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও শাকসবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতি কম হবে। অন্যথায় ফসল পঁচে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, গাইবান্ধায় তিন নদ-নদীর পানি কমছে। এরমধ্যে ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। তবে তিস্তার পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, জেলা সদর, ৩ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবারসহ সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় মেডিকেল, কৃষি, স্বেচ্ছাসেবক এবং লাইভস্টোক টিম রয়েছে। তাছাড়াও একাধিক এনজিও বানবাসী মানুষের সেবায় কাজ করছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com