গণতন্ত্র সম্মেলনের পরোয়া শেখ হাসিনার সরকার করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র সম্মেলনে কাকে দাওয়াত দিল, আর না দিল তার পরোয়া শেখ হাসিনা করে না। কে আমন্ত্রণ করল, কোথায় সম্মেলন সেটা নিয়ে আমাদের ভাবার সময় নেই।’
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমার দেশে গণতন্ত্র ঠিকমতো চালাচ্ছি কি না, আমার দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন হচ্ছে কি না, জনগণ স্বাধীনভাবে কথা বলছে কি না সেটিই আমার দেশের গণতন্ত্র।’
অনেক চেষ্টা করেও বিএনপি মার্কিন প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ পায়নি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডোনাল্ড লু, ডেরেক শোলে আসলেন। বিএনপির সাথে বৈঠক হয়নি। দিনরাত পড়েছিল মার্কিন দূতাবাসে যদি একবার সাক্ষাৎ মেলে। সাক্ষাৎ হয়নি। এজন্য তাদের মন খারাপ।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ভারতকে তো আমাদের সাথে অনেক আগেই জড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমেরিকাও নাই। যাবেন কোথায়? বিদেশের বন্ধুরা নাই, দেশের জনগণও নাই। বিএনপি এখন বন্ধুহীন। তাহলে উপায়টা কী। ঘরে বসে বসে, শুয়ে শুয়ে হিন্দি সিরিয়াল দেখবেন। আর জানালা দিয়ে পুলিশের গতিবিধি দেখবেন।
‘কত জায়গায় গেলেন নিষেধাজ্ঞার জন্য। কত তৎবির করলেন, এলো কি নিষেধাজ্ঞা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, নষ্ট রাজনীতির হোতা হচ্ছে নষ্ট বিএনপি। তারা রাজনীতির বিষফোঁড়া। তাদের হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়, নিরাপত্তা নিরাপদ নয়, আইনশৃঙ্খলা নিরাপদ নয়। এরা সুযোগ পেলেই মানুষ পোড়ায়, বাস ভাঙচুর করে, নারী ধর্ষণ করে। বাংলাদেশের নারীরা সতর্ক হয়ে যান। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই দেশকে আফগানিস্তান বানাবে। শেখ হাসিনাই এ দেশের নারীদের সম্মানিত করেছেন।
উন্নয়ন দেখলে বিএনপির ভালো লাগে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারেক জিয়া তো খাম্বা বেপারী। তার কাজই ছিল খাম্বার ব্যবসা করা আর লুটপাট করা। হাওয়া ভবনের আরেক নাম খাওয়া ভবন, লুটপাটের ভবন। শেখ হাসিনার ছেলে-মেয়েরা খাওয়া ভবন করে নাই। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের কেউই খাওয়া ভবন তৈরি করেনি। প্রত্যেকেই চাকরি করে খায়। সৎ জীবন যাপন করে।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে কাদের বলেন, তাদের আন্দোলনের নদীতে জোয়ার নেই। গণজোয়ার আসে না। পদযাত্রা, শর্ট মার্চ থেকে আবার লং মার্চ, সবই ভুয়া।
বাংলা৭১নিউজ/এবি