বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: দেশে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকার কারণেই জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। একটি আন্তর্জাতিক চক্র গণতন্ত্র না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এর মদদ দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মওদুদ।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা সংবিধানে রেখে একদলীয় শাসনের যে ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে সেটা আরো ভয়ঙ্কর। কারণ গণতন্ত্র আছে অথচ গণতন্ত্র নেই। এই অবস্থা আছে বলেই দেশে আজ জঙ্গিবাদ এবং উগ্রবাদের উত্থান হচ্ছে।’
মওদুদ বলেন, ‘এত ব্লগাররা মারা গেলেন, পুরোহিত মারা গেলেন, মোয়াজ্জেম মারা গেলেন প্রায় ২৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে একটি হত্যাকাণ্ডেরও মামলা শুরু করতে পারেনি। গণতন্ত্র যদি ফিরে আসে তাহলে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদের অবসান অবশ্যই ঘটবে।’
জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মওদুদ বলেন, সরকার বলছে, জঙ্গিবাদ নিয়ে তাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। তাঁর দাবি, সরকার সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর একটিরও বিচার শুরু করতে পারেনি। এতে বোঝা যায় এ ক্ষেত্রে সরকারের সততার অভাব আছে।
সদ্য শেষ হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘মানুষকে ভোটের অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে। এর চেয়ে বড় রাজনৈতিক অপরাধ হতে পারে না। তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনে শতাধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে। তার ৯৫ শতাংশই আওয়ামী লীগের। এই নির্বাচনের দরকার ছিল না। সরকার এ রকম একটি আইন করলে পারত যে, আওয়ামী লীগ যাদের মনোনয়ন দেবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। তাহলে এত প্রাণহানি হতো না।’
বর্তমান সরকার জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভায় পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস