খুলনার দুটি হাসপাতালে করোনায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা ডেডিকেট করোনা হাসপাতালে ৬ জন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জনসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়। তবে, এসময়ের মধ্যে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
আজ সোমবার (২৮ জুন) সকালে এসব হাসপাতালের মুখপাত্ররা এই তথ্য জানিয়েছেন।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনা ডেডিকেট করোনা হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৩০ শয্যার হাসপাতালটিতে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৬৯জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরমধ্যে রেড জোনে ৯৯জন, ইয়ালো জোনে ২৫জন, আইসিইউতে ১৯জন এবং এইচডিইউতে ২০জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪১জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন-খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকার আকলিমা (৩৫), সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মো. সিফাতুল্লাহ্ (৮৫), খুলনা মহানগরীর মৌলভীপাড়ার ফেরদৌসী ইসলাম (৫৮) ও নাইলী (৬৭), ডুমুরিয়া উপজেলার আম্বিয়া (৩৫) এবং বাগেরহাটের মোংলার প্রদীপ কুমার (৬৩)।
অন্যদিকে, বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন-বাগেরহাট সদরের লাউপোল এলাকার নারায়ণ (৭১), খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জেবুন্নেসা (৬৭), নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার কতাকল গ্রামের আব্দুর রহমান (৬০), গোপালগঞ্জের আড়পাড়ার সুফিয়া বেগম (৪৫), খুলনা মহানগরীর হরিণটানা এলাকার এমএ হাশেম (৬৮)।
তিনি জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তার হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৬জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩জন। আইসিইউতে রয়েছেন চারজন আর এইচডিইউতে আছেন ৯জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৭জন, তার মধ্যে ৩৩জন পুরুষ ও ৩৪জন মহিলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, রবিবার (২৭ জুন) রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার প্রায় ৪০ শতাংশ। এর আগে শনিবার খুমেক ল্যাবে শনাক্তের হার ছিল ৫০ শতাংশ, শুক্রবার ৩৭.৯০ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ৫১.৫৫ শতাংশ, বুধবার ৩৪ শতাংশ, মঙ্গলবার ৪০ শতাংশ, আর সোমবার ছিল ৩১ শতাংশ।
তিনি জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে রবিবার মোট ৪৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৮৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ শনাক্ত হয়। যার মধ্যে খুলনার ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া বাগেরহাটের ৪০ জন, যশোরের ৩ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, নড়াইলের ১ জন, পিরোজপুরের ১ জন, গোপালগঞ্জ ৩ জন ও ঢাকার ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম