বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে

খালেদার বিরুদ্ধে আবার মামলা সেই এ বি সিদ্দিকীর

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি ডলার লেনদেনের বক্তব্য দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকালে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে এ মামলা করা হয়।

গত ১ মে শ্রমিক দিবসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় জয়ের অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।

এ ঘটনায় জয়ের মানহানি হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। সকাল ১১টা নাগাদ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

কে এই এ বি সিদ্দিকী
এ বি সিদ্দিকীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়৷ এখন তিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন ঢাকার একটি ভাড়া বাসায়। ২০০২ সালে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদ গঠন করেন তিনি। তার এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মোট সদস্য ১০১ জন।

বনানীতে এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়৷ তবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস, একই এলাকায় খদ্দর মার্কেটে এবং মতিঝিলের একটি অফিসেও তিনি বসেন।

গত বছর এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, জননেত্রী পরিষদ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত।

এ বি সিদ্দিকের লেখাপড়ার গণ্ডি এসএসসি পার হয়নি। কিছুদিন তিনি সৈনিকের চাকরি করেছেন। এরপর নব্বইয়ের দশকে দৈনিক বাংলা এবং দৈনিক খবরে স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন বলে জানান তিনি।

বর্তমানে তিনি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি ছাড়াও দৈনিক ভোরের আলো, সাপ্তাহিক অবদান, চিত্রজগত্-এর সম্পাদক। এছাড়া দৈনিক ভোরের চেতনার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বলেও নিজেকে দাবি করেন তিনি।

তিনি জানান, এখন তাকে মামলার কাজে সপ্তাহের সাতদিনই আদালতে থাকতে হয়।

মামলার খরচ কীভাবে আসে- জানতে চাইলে এ বি সিদ্দিকী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা মামলার খরচ চালানোর জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি৷ এই কমিটি অর্থ সংগ্রহ করে।’

অবশ্য তিনি জানান, ‘মামলা করতে এবং চালাতে তার তেমন কোনো খরচ হয় না৷ কারণ তিনি আলোচিত মামলা করেন৷ তাই আইনজীবীরা তাদের প্রচারের জন্য বলতে গেলে বিনে পয়সাতেই মামলা করে দেন।’

অন্য এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তিনি যেসব আইনজীবীকে দিয়ে মামলা করান তারাই উল্টো তাকে টাকা দেন।

এ বি সিদ্দিকী জানান, ‘আমার একটি স্বপ্ন পূরণ হয়েছে৷ বুয়েট-এর শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার পর ২০১৪ সালে জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার দেখা করার সুযোগ হয়েছে৷ আমি গণভবনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছি।’

তিনি দাবি করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে মাথায় হাত দিয়ে সাহস দিয়েছেন।’

এরপর আর দেখা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন প্রায়ই আমার গণভবনে যাওয়ার সুযোগ হয়। এতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আমাকে ঈর্ষা করেন।’

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সাক্ষৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘সরকার আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। আমার ঢাকার বাসায় পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। চলাফেরার সময়ও পুলিশি নিরাপত্তা পাই আমি।’

এ বি সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার প্রধান কাজ হলো বঙ্গবন্ধু পরিবারের ওপর কোনো ধরণের হামলা বা কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা। আমি এই মামলা করেই যাব। প্রয়োজনে মামলা করে করে ফতুর হবো, তবুও থামবো না।’

বাংলা৭১নিউজ/এসআর

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com