বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ফেসবুক লাইভে এসে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটু মন্তব্য করায় মালয়েশিয়ায় আসাদুজ্জামান আসাদ ওরফে পংপং নামের একজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মালয়েশিয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগের পর পুলিশ তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মনির হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানান, “আসাদুজ্জামান আসাদ প্রায়ই ফেসবুক লাইভে এসে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গালাগাল দিতেন বলে আমরা শুনেছি। কিছুদিন আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে এরকম গালাগালি দেয়ার পর স্থানীয় বিএনপির নেতা মামুন বিন আবদুল্লাহ গত শনিবার একটি মামলা করেন। এরপর মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।”
পুলিশ হেফাজতে থাকায় মি.আসাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। দেশটিতে তার কোন স্বজনও থাকেন না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিকরা।
তবে তারা বলছেন, এই ব্যক্তির বিষয়ে তারা আগে খুব একটা জানতেন না। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভের কারণে তিনি মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
আসাদুজ্জামান আসাদের কয়েকটি লাইভ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেছেন।
এর মধ্যে কোন কোন লাইভে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় বাংলাদেশের সরকারি বা বিরোধী দলের নেতা, বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজনকে নিয়ে কটু ভাষায় মন্তব্যও করেছেন।
তবে ফেসবুকে একটি বার্তায় তিনি খালেদা জিয়াকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।
তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী মালয়েশিয়া বিএনপির নেতা মোহাম্মদ মামুন বিন আব্দুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে যে বিভিন্ন ধরণের বাজে মন্তব্য করেছেন, সেজন্য মালয়েশিয়ার বিএনপির পক্ষ থেকে মানহানির অভিযোগে চুঙ্গাইবুলু থানায় মামলাটি দায়ের করেছি।”
সেখানে অভিযোগ করা হয়, তিনি বিভিন্ন সময় ফেসবুকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য করেছেন, যা তাদের জন্য মানহানিকর। তাই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হয়।
গত ১৭ই জুলাই রাতে আসাদুজ্জামান আসাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এখন অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সাংবাদিক মনির হোসেন জানান, তার নাম আসাদুজ্জামান আসাদ হলেও মালয়েশিয়া তিনি ‘পংপং’ নাম নিয়েছেন। এখানে তিনি অনেক বছর ধরে রয়েছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।
মালয়েশিয়ার আইনে মানহানি একটি সিভিল ও ক্রিমিনাল, উভয় ধরণের অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়। তবে এ ধরণের অভিযোগে জামানত সাপেক্ষে জামিনের বিধান রয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মোঃ সায়েদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখনো এই গ্রেপ্তারের বিষয়ে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস