বাংলা৭১নিউজ, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে ফের বর্ষণে পাহাড় ধস শুরু হয়েছে। এজন্য প্রাণহানির আশঙ্কায় শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল থেকে প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাত থেকে ফের টানা বর্ষণ শুরু হয়। বর্ষণে জেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জেলা শহরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার, শালবন, হরিনাথ পাড়া গ্যাপ ও আঠার পরিবার এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিন জানান, বর্ষণ শুরু হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। যাতে জানমালের ক্ষতি না হয় সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এজন্য শালবনের জেলা প্রশাসনের স্টাফ কোয়ার্টারকে আশ্রয় শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে আশ্রিতদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের লিডার জসিম উদ্দীন জানান, ঝুঁকি জেনেও অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না। তারপরও বুঝিয়ে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো. আব্দুল হান্নান জানান, বর্ষণ শুরু হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৩০টি পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা মো. আলী অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করার কারণে ঝুঁকি আরও বেড়েছে।
তবে জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটা ও পাহাড়ের ঢালে বসতি স্থাপনের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সু-স্পষ্ট নির্দেশনা নেই।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস