সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার রোধে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই বৃক্ষ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ বিষয়ক গবেষণা বৃদ্ধি করা হবে বিকাশ অ্যাপে খোলা যাচ্ছে সেভিংস এলজিইডি’র সেই প্রকৌশলীর স্ত্রীরও ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ! ব্যাটারিচালিত রিকশা কোথায় কীভাবে চলবে নির্দেশনার পর ব্যবস্থা ডিএমপি ভারত থেকে রেলের ২০০ বগি কিনছে বাংলাদেশ, চুক্তি সই মেয়রের সামনে কাউন্সিলর রতনকে জুতাপেটা করলেন কাউন্সিলর চামেলী বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন দেশের অর্থনীতি শূন্যে, ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে বাজার ম‌নিট‌রিং জোরা‌লো করতে প্রধানমন্ত্রীর নি‌র্দেশ রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক মেয়েকে ঘুমে রেখে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুললেন মা প্রধানমন্ত্রী ব্যাটারিচালিত রিকশার স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরস্কার দেবে বাংলাদেশ, নীতিমালা অনুমোদন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত প্রেসিডেন্ট রাইসি নিহত, ইরানে পাঁচদিনের শোক ঘোষণা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

খরায় নষ্ট হচ্ছে পাট, অসহায় কৃষক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

একসময়ের সোনালী আঁশ খ্যাত পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর কৃষকরা। চলতি পাটের মৌসুমে পাট কাটা, পিল ও জাগ দেওয়া, পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোসহ এখন তাদের নানা কাজে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্তু শ্রাবণ মাসেও বৃষ্টি না থাকায় খাল-বিল শুকিয়ে পানিশূন্য অবস্থা। ফলে কৃষকের মাঝে ব্যস্ততা নেই।

খালে-বিলে পানির অভাবে পাট কেটে জাগ (পচানো) দিতে পারছেন না তারা। দেখা গেছে, কোনো কোনো কৃষকের পাট জমিতেই শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ ও পাট অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট দুই হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কৃষকরা এক হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে পাট বেড়ে উঠতে পারেনি। যতটুকু হয়েছে তাও এখন খড়ার কবলে পড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এতে পাট চাষ করে লাভের আশা তো দূরে থাক, হালচাষের খরচও উঠবে না অনেক কৃষকের।  

উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ী গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়ে সেই আশায় এ বছর বর্গা নিয়ে দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে অর্ধেক পাট নষ্ট হয়েছে। খালে-বিলে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে পারতেছি না। খুব বিপদে আছি।

চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের মূছুল্লীপাড়া গ্রামের কৃষক ইউনুছ আলী ও আব্দুর রহিম মিন্টু বলেন, দুই বিঘা জমির পাট কেটে জাগ দিয়েছি। খালের পানি শুকিয়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে পাট পচে নষ্ট হয়ে যাবে।

ওই এলাকার রিপন নামের এক কৃষক বলেন, প্রচণ্ড রোদের তাপে পাট শুকিয়ে কালো হয়ে মরে যাচ্ছে।  

উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রতন মিয়া বলেন, এই উপজেলায় দীর্ঘদিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় খড়ার কারণে কৃষক পাট নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, পাট দুটি পদ্ধতিতে পচানো যায়। একটি হলো ভারী বস্তুর সাহায্যে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া, দ্বিতীয়টি পাট ছিলে গর্ত করে সেখানে পানি দিয়ে পচানো। তবে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে কৃষকরা অভ্যস্ত নন। তাই এখনই পাট না কেটে বৃষ্টি হলে পাট কাটার পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com