বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দুবাই সফরে গেছেন আসিফ মাহমুদ ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালকের শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন ৪৬তম শিরোপা জিতে যা বললেন মেসি ডিসি নিয়োগে ঘুস লেনদেন নিয়ে খবরকে ‘ভুয়া’ বললেন জনপ্রশাসন সচিব বেনাপোল দিয়ে ২৭৬ টন ইলিশ রপ্তানি ভারতে লেবাননে ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৬ পত্নীতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেপ্তার স্ত্রীসহ সাবেক এমপি দুর্জয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি, ১০ কোটি টাকার এলএসডি জব্দ ঢাকা থেকে উপকূলের ৬ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ এবার শামীম ওসমানের দেখা মিলল আমিরাতের শপিং সেন্টারে আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি: ফারুকী ফেঞ্চুগঞ্জ সেতুতে টোল আদায় ফের শুরু হচ্ছে আজ জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফল সফর, চিন্তায় নয়াদিল্লি ড্রোন হামলা, আগুন ছড়িয়ে পড়ল তেলআবিবে আরেক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী গ্রেফতার লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত যশোরে পুলিশের অভিযান, আ.লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ক্ষতির শঙ্কায় মেঘনা উপকূল

লক্ষীপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুরে বাধ নির্মাণে ধীরগতির কারণে ঝড় বা ভারী জলোচ্ছ্বাস ও পূর্ণিমার জোয়ারের পানি বাড়লে উপকূলীয় অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

সদর উপজেলার চররমনী মোহনের দক্ষিণাংশ, কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, চর লরেন্স, সাহেবের হাট, চর কালকিনি, চর ফলকন, পাটওয়ারীহাট, রামগতির চর বাদামের পশ্চিম, আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চর রমিজ, চরগাজী ও চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নসহ মেঘনার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাস হলেই বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কায় থাকে স্থান বাসিন্দারা। যদিও কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় বাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ঝড় জলোচ্ছ্বাস হলে নির্মাণাধীন সেই বাঁধও ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পলোয়ান বলেন, কিছু অসৎ ঠিকাদার সব সময় দুর্নীতির ফাঁক-ফোকর খোঁজে। যে কোনো ঘূর্ণিঝড় কিংবা অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে বাঁধের জিও ব্যাগের সামান্য ক্ষতি হলে ঠিকাদাররা বড় অজুহাত দেখিয়ে দুর্নীতির সুযোগ পেয়ে যাবে।

তারা হয়তো কাজ না করেও সেখানে কাজ হয়েছে বলে দেখিয়ে দেবে। শুরু থেকেই আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবাদ করে আসছি যে এত বড় একটি প্রকল্প চলছে কোনো রকম তদারকি ছাড়াই। জিও ব্যাগের যে কাজগুলো হচ্ছে, তা দায়সারা ভাবে করা হচ্ছে। জিও ব্যাগ রক্ষায় এখনো বড় প্রতিরক্ষা তৈরি করা হয়নি। ফলে যে কোনো ধরনের ঝড়, জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসকে পূঁজি করে এ অঞ্চলের  মানুষের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর পূর্বপাড়ের জেলা লক্ষ্মীপুরের ৩৩ কিলোমিটার এলাকায় নদী তীর রক্ষায় ৩ হাজার ৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের অধীন চলতি অর্থ বছরে প্রায় দুইশ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া বাঁধ নির্মাণের প্রাথমিক কাজ হিসেবে প্রকল্পের আওতায় কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পের কিছু অংশের কাজের মেয়াদ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ করার কথা রয়েছে। তবে বাকি কাজ আগামী তিন বছরে শেষ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানান, নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ২০২১ সালের ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির-একনেক সভায় ৩ হাজার ৮৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়। বাঁধ নির্মাণের জন্য টেন্ডার হওয়া ৯৯টি লটের মধ্যে ৪৩ লটে প্রায় ১৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগের ড্যাম্পিং শুরু হয়েছে। কিন্তু একটি পয়েন্টেও ড্যাম্পিং শেষ হয়নি। এর মধ্যে মাত্র ৪ কিলোমিটার এলাকায় ৫০-৮০ ভাগ ড্যাম্পিং কাজ শেষ হয়েছে। যা ৩৩ কিলোমিটার পুরো প্রকল্পের ১০-১৫ ভাগ। ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে এ পর্যন্ত প্রায় ২শ-আড়াইশ কোটি টাকার কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের পর থেকে ৪৩ লটের মধ্যে মাত্র ৮টি লটে (প্রতি লটে ৩৩০ মিটার) কাজ চলছে। ড্যাম্পিং করা জিও ব্যাগ নদী ভাঙন ঠেকাতে পারলেও বাঁধের কাজ শেষ না হলে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে তা লড়াই করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে ঝড় বা ভারী জলোচ্ছ্বাস ও পূর্ণিমার জোয়ারের পানি বাড়লে বড় ক্ষতি হতে পারে বলে এই কমকর্তা জানান।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com