সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে রাজবাড়ীতে শীতার্তদের পাশে সেনাপ্রধান অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা সহায়তায় পাবেন ১০-৫০ হাজার টাকা কমিশনের সুপারিশের পর স্বাস্থ্যের সংস্কার শুরু হবে : উপদেষ্টা বিএনপি নেতা এস এ খালেক মারা গেছেন সিরিয়ায় তুরস্ক সমর্থিত গোষ্ঠী ও কুর্দি বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত শতাধিক সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সম্পদের তথ্য জমা দিতে হবে মাউশিতে মুন্সীগঞ্জে অতিরিক্ত সচিবের বাড়িতে ডাকাতি আরও পাঁচ ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটি পাট-পর্যটন-ফার্মাসিউটিক্যালস-টেলিকমে বিনিয়োগের আহ্বান নদী দূষণ রোধ-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এডিবির সহযোগিতা চাইলেন উপদেষ্টা ভারতে প্রশিক্ষণে যাওয়া হচ্ছে না বিচার বিভাগের ৫০ কর্মকর্তার টেকনাফে ৩৬ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ, হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি ৯ দফা দাবি আদায়ে চবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পদে রেজানুর রহমানের যোগদান সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্যই হলো বিজয়ী হওয়া : প্রধান উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস আটক স্ত্রীসহ তাপসের ৮০ কোটির সম্পদ, ৬১৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন সৌদিতে ১৯ হাজারেরও বেশি অভিবাসী গ্রেফতার শেখ রেহানার ছোট মেয়ে আজমিনাও ফ্ল্যাট উপহার নিয়ে বিতর্কে

ক্যান্সারে শয্যাশায়ী ‘বাঙালি’ স্বর্ণকন্যা মার্গারিটার বাবা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে
আব্দুল্লাহ আল-মামুনের কোলে মার্গারিটা

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশকে অলিম্পিক স্বর্ণপদকের গর্ব অনুভব করানো সেই মার্গারিটা মামুনের বাবা আব্দুল্লাহ আল-মামুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বিছানায় শুয়ে-শুয়েই দেখেছেন মেয়ের বিজয়-দৃশ্য।

আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বাড়ি রাজশাহীর কাশিপুর গ্রামে। সেখানে থাকেন তার বোন দিনা জহুরা। গতকাল কথা হয় তার সঙ্গে।

মার্গারিটাকে কাশিপুরবাসী রিতা বলে ডাকে। বাবার সঙ্গে তিনবার গ্রামে এসেছেন তিনি। সর্বশেষ এসেছেন আট বছর আগে। তখন তার বয়স ছিল ১২ বছর। মার্গারিটা সোনা জয়ের পর থেকে কাশিপুরবাসী আনন্দে ভাসছে।

মামুন গ্রামে একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এসে সেই বাড়িতেই ওঠেন। মার্গারিটা বাংলাদেশের খাবার খেতে পারেন না। তাই তাকে সেদ্ধ চিংড়ি এবং মাংসই খাওয়ানো হতো।

মস্কোতে জন্ম নেওয়া ২০ বছর বয়সী মার্গারিটা গেমসের পঞ্চদশ দিনে বাংলাদেশ সময় শনিবার গভীর রাতে ব্যক্তিগত অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে সোনা জেতেন।

মার্গারিটার বাবা মেরিন প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাশিয়াতেই থিতু হয়েছেন। মা সাবেক রিদমিক জিমন্যাস্ট আন্নার কাছ থেকেই দীক্ষা পেয়েছেন তিনি।

মার্গারিটা শেষবার যখন দেশে এসেছিলেন, তখন বেশিরভাগ সময় প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে মেতে থাকতেন। ঘরের পাশে একটি পুকুর আছে। পুকুরপাড়ে আনমনা হয়ে মাছ দেখতে ভালোবাসতেন।

জহুরা বলেন, ‘মামুন সবসময় তার মেয়েকে স্মরণ করিয়ে দিত এটাই বাড়ি। সময় পেলে যেন বাংলাদেশ দেশে চলে আসে।’

মামুন এসএসসি পাশ করেন দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এইচএসসি করেন দিনাজপুর সরকারী কলেজ থেকে। এরপর ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে।

‘মর্গে লাশ দেখে ও ডাক্তারি পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এরপর ভর্তি হয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ১৯৮৩ সালের শেষ দিকে বৃত্তি নিয়ে রাশিয়া চলে যায়। এরপর আন্নাকে বিয়ে করে। মামুনের একটি ছেলেও আছে। নাম ফিলিপ আল মামুন।’ বলেন জহুরা।

শনিবার রাতে কাশিপুরের অনেকে টিভির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন। তাদের মেয়ে সোনা জিতবেন বলে। মার্গারিটা জন্মভূমির এই রাতজাগা মানুষকে হতাশ করেননি। পদক হাতে নিয়ে ভুলে যাননি এই দেশটার নাম। সোজাসুজি বলে দেন, ‘এই পদক বাংলাদেশেরও।’

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com