রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল এবার পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী অনিয়ম এড়াতে মোবাইল অ্যাপে চাল বিক্রি ৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে স্কুলসামগ্রী বিতরণ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাবিতে বিষমুক্ত ফল নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন গোপালগঞ্জের সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২ শ্রমিক নিহত দিল্লির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে ভোট বর্জনই বিএনপির আন্দোলন: এ্যানি আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু

কোটা সংস্কার: সংক্ষুব্ধ ছাত্রদের বিভক্তি দূর হলো মতিয়া চৌধুরীর উক্তিতে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে
রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ানাযাওয়া নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা বিভক্তি তৈরি হলেও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এক উক্তিতে ক্ষুব্ধ হয়ে আবার এক হয়ে গেছেন তারা

যে নেতারা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে বৈঠক করার পর আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন – তারা এখন বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এই নাটকীয় মোড় পরিবর্তন ঘটেছে মঙ্গলবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনের চেহারাই ছিল অন্যরকম। দিনের প্রথমদিকে সেখানে চলছিল কোটা-সংস্কার প্রশ্নে সরকারের সাথে সমঝোতার পক্ষে বিপক্ষে সমাবেশ আর পাল্টা সমাবেশ।

রোববার ছাত্র অধিকার পরিষদের যে নেতারা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছিলেন তারা সরকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ স্থগিত করেছিলেন। কিন্তু এ সমঝোতা বিক্ষোভরত ছাত্রদের একাংশ মেনে না নিলে দৃশ্যত: ছাত্র অধিকার পরিষদেই একটা বিভক্তি দেখা দেয়।

মঙ্গলবার সকালে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরোধী একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন। এদের মধ্যে একজন ছাত্রী বলছিলেন, সরকারের বক্তব্যে তারা ভরসা পাচ্ছেন না এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান।

তারা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের একমাস সময় নেয়া নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন।

মন্ত্রীর সাথে আলোচনাকারী নেতাদের একজন মোহাম্মদ উজ্জ্বল বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী আশ্বাসের ওপর আস্থা রেখে আন্দোলন স্থগিত করেছেন। যারা এর পরও আন্দোলন করছে তাদের ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে, এর মধ্যে বিভিন্ন চক্রান্ত ঢুকে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা

কিন্তু আন্দোলন চালানোর পক্ষের ছাত্রদের একজন নেতা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তাদের অরাজনৈতিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক চেহারা দেবার চেষ্টা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে পাল্টা সমাবেশ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক ছাত্রলীগ।

তাদের নেতারা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভিসির বাসভবনে হামলা ও নানা রকম গুজব ছড়ানোর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে।

কিন্তু বিকেলে দেখা যায় পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন।

সরকারের মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এই আন্দোলন সম্পর্কে সংসদে দেয়া এক বক্তব্যে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

যারা আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন – তারাই আবার আন্দোলনরতদের সাথে মিলে গিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে নেন।

ফলে ছাত্র অধিকার পরিষদে আগে একটা বিভক্তি তৈরি হলেও মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে আবার তারা এক হয়ে গেছেন।

পরিষদের একজন নেতা মোহাম্মদ রাশেদ খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে বৈঠকের পর সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোরণন স্থগিত করেছিলেন, কিন্তু মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যে তারা ক্ষুব্ধ।

তারা দাবি করেন, মতিয়া চৌধুরীকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে এ জন্য দু:খ প্রকাশ করতে হবে।

শেষ খবর পর্যন্ত মতিয়া চৌধুরীর দিক থেকে অবশ্য কোন দু:খ প্রকাশের খবর আসে নি।

এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী এ. এম. এ. মুহিতের একটি বক্তব্যও ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে – যাতে তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের ব্যাপারটা বাস্তবায়নের প্রশ্ন আসবে বাজেটের পর।

এ নিয়ে ছাত্র নেতারা বলছেন, তাদের মধ্যে সরকারের অবস্থান নিয়েই সংশয় তৈরি হচ্ছে – কারণ সরকার একদিকে ছাত্রনেতাদের আশ্বাস দিচ্ছেন, অন্যদিকে সিনিয়র মন্ত্রীরা আন্দোলনকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিচ্ছেন।

এ আন্দোলনে মেয়েদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়

ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা বলছেন, সে কারণেই তারা আবার আন্দোলনে ফিরে গেছেন।

তারা বলছেন, এখন প্রধানমন্ত্রীকে ঘোষণা দিতে হবে যে তাদের এই দাবির ব্যাপারে কি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এটা না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

তারা ঘোষণা করেন, ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট এবং ক্লাস বর্জন করা হবে।

এ ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসগুলোতে অবস্থান এবং অবরোধ পালন করা হবে।সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com