বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে রাজধানীর চানখারপুল থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিরা প্রাইভেটকারে করে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা হলেন- কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূর, রাশেদ খান ও ফারুক হাসান।
আজ সোমবার দুপুর পোনে দুইটার দিকে চানখারপুল থেকে তাদের একটি সাদা প্রাইভেটকারে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি সংবাদ সম্মেলনে করে।
ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চার মামলা দুই দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
হাসান আল মামুন জানান, সংবাদ সম্মেলনের সময় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশে হাকিম চত্বরে সাদা পোশাকে ৮-৯ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করছিলেন। পরে সংবাদ সম্মেলন শেষে নুরুল্লাহ নূর, রাশেদ খান ও ফারুক হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন আহত তিন ছাত্রকে দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিন ছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শাহবাগ থানার এসআই হাসান বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি। এদিকে তুলে নেয়ার আগে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান বলেছিলন, দৈনিক ইত্তেফাকে আমাকে জামায়াত-শিবির পরিচয় দিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে সূর্যসেন হলের ৫০৫ নম্বর রুমে থাকতাম। কিন্তু আমি ২০১৩ সালে সেখানে থাকা শুরু করি। প্রতিবেদনে আমার বাবার নামও ভুল লেখা হয়েছে। পুরো প্রতিবেদনই মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভরা।
উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন।
পরে ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস