বাংলা৭১নিউজ, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে স্থানীয় মসজিদে বিএনপির ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগ হামলা করেছে।
একে কেন্দ্র করে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়ন গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
ইফতার মাহফিল ভণ্ডুল করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী মসজিদে ঢুকে হামলা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এর জের ধরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২০জন। এদের বেশিরভাগই বিএনপিকর্মী ও মসজিদের সাধারণ মুসল্লি।
ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান উপস্থিত হলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তার উপরও হামলা করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।
কেরানীগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমানের হযরতপুরের বাড়ির পাশের মসজিদে গতকাল শুক্রবার ইউনিয়ন বিএনপি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। মসজিদটি আমান নিজে নির্মাণ করেছেন। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল আমান উল্লাহ আমানের। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ইফতারের জন্য মসজিদের পাশে রান্নাবান্নাসহ আয়োজন চলছিল।
এসময় ক্ষমতাসীন দলের শতাধিক নেতাকর্মী হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে মসজিদের ভেতর ঢুকে উপস্থিত লোকজনকে মারধর করে এবং খাবার ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এক পর্যায়ে তারা চলে গেলে বিএনপির লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে আসলে কয়েক দফা উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘মসজিদের ভেতর শান্তিপূর্ণভাবে ইফতার পার্টি চলছিল। এখানেও তাদের হামলা! আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই প্রথম দফা হামলার খবর পাই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার আয়নালের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। এরপর আমি স্থানীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলি।
তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছিল। নতুন করে আর কোনো ঝামেলা হবে না। এরপর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদের ভেতর অবস্থান নেই। কিছুক্ষণ পর আয়নালের নেতৃত্বে পুনরায় হামলা চালানো হয়। মসজিদের দরজা জানালাগুলো ভাংচুর করেছে। আমাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। এরপর আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস