বাংলা৭১নিউজ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে এক কলেজছাত্রীকে বাসায় আটকে রেখে পাঁচ বন্ধু মিলে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে রাজিবপুর উপজেলার কাচারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার ওই শিক্ষার্থীর চাচা রাজিবপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কাচারিপাড়া গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে খোরশেদ আলী জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার এক কলেজশিক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ সম্পর্কের সূত্র ধরেই দেখা করার কথা বলে খোরশেদ আলী মঙ্গলবার মোবাইলে ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে আনেন। এরপর তাঁর বন্ধু একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীকে। একপর্যায়ে খোরশেদ আলী ও তাঁর চার বন্ধু মিলে ওই শিক্ষার্থীর মুখে কাপড় বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের একপর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়েন এবং তাঁর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। খোরশেদ আলীর দুই বন্ধু আলামিন ও আরিফুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীকে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে ওই শিক্ষার্থীর অবস্থার অবনতি ঘটেছে। তাঁর ওপর যে একাধিক নির্যাতন চালানো হয়েছে, এটা নিশ্চিত। কমপক্ষে ১২টি সেলাই দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে জামালপুরে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথ্বীশ কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় বুধবার ওই শিক্ষার্থীর চাচা রাজিবপুর থানায় মামলা করেন। এতে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আল-আমিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস