শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নুরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ সচিবালয়ে প্রবেশ পাসের বিশেষ সেল গঠন মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করবে সিলেট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হতেই হবে : এম সাখাওয়াত ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল সিলেটে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী রোববার থেকে দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৬, সেই বাসচালক গ্রেফতার বিএসএফের বাধার মুখে পড়া মুহুরী নদীর সেই সেচ পাম্প চালু বিএনপি-জামায়াতকে কঠিন হুঁশিয়ারি মামুনুল হকের নিজে নন, শাহিন আফ্রিদির চোখে বাংলাদেশিরাই বড় তারকা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, বেনজীরের কেয়ারটেকারসহ গ্রেপ্তার ৪

কুড়িগ্রাম আমন চাষে ব্যস্ত চাষিরা, বন্যার আশঙ্কা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কুড়িগ্রামে উপযুক্ত সময়ের মধ্যে রোপা আমন আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। মাঠে এখন তাদের সরব উপস্থিতি। তবে চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলে আমন আবাদ এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। নাবিজাতের আমন আবাদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাষিরা। এ ছাড়াও চর ও নিম্নাঞ্চলে বীজতলার সংকটে পতিত পরে আছে অসংখ্য আবাদি জমি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামে এবার ১ লাখ ২০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলে রোপা আমন আবাদ চলছে ধীরগতিতে। 

জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার কোনো কোনো জমিতে পানি জমে আছে, কোথাও বালু পড়েছে। আর যেসব জমিতে পলি পড়েছে সেখানে কৃষকরা ব্রি জাতের বীজ ছিটিয়েছেন। তবে দেরিতে বন্যার পানি নামা ও বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চর ও নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা ধারদেনা করে চড়া দামে বীজতলা সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ শুরু করলেও আবারও বন্যার আশঙ্কায় তারা।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকার কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, বন্যায় আমার এখানকার বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। উঁচু এলাকা থেকে চড়া দামে বীজতলা কিনে জমিতে রোপণ করছি। এর আগে তো আমার বিভিন্ন সবজি পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতো খরচ করে আবাদ করছি, যদি আবার বন্যা হয় তাহলে কি হবে আমার।

একই এলাকার কৃষক মোকসেদ বলেন, বৃষ্টি না থাকার কারণে সেচের পানিতে জমি তৈরি করছি। আমন আবাদ করার জন্য, আবাদ না করলে খাবো কি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাবিজাতের আমন চারা রোপণ করা যাবে। তা সম্ভব না হলে আগাম রবি ফসল আবাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।

এবারের বন্যায় কুড়িগ্রামে ৫০ হাজার কৃষকের ১০৫ কোটি টাকা মূল্যমানের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com