পিরোজপুরে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল শনিবার (২৬ জুন) থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত জেলার চার পৌরসভা এলাকায় কঠোর লকডাউন।
এ ব্যাপারে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) আবু আলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার থেকে পরবর্তী সাত দিন পিরোজপুর, স্বরূপকাঠী, মঠবাড়িয়া ও ভাণ্ডারিয়া পৌরসভা এলাকায় সাত দিনের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, শনিবার সকাল ৬টা থেকে জেলার ৪টি পৌরসভায় কঠোর লকডাউন কার্যকর করাসহ জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
জরুরি কাজে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, মাছ, মাংস. কাঁচাবাজার ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ও ওষুধের দোকান সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর বাইরে অন্য সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মার্কেট আগামী ৭ দিন বন্ধ থাকবে।
এছাড়া আন্ত জেলা ও দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জেলার মধ্যে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচল করতে পারবে। জনসমাবেশ হয় এমন ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ও ধর্মীয়আচার বন্ধ থাকবে। এছাড়া জেলার বড় বড় হাটবাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগের লক্ষে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলায় চলতি জুন মাসে এ পর্যন্ত ২৪০ জন করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে ৩০৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২টি নমুনার মধ্যে ৫২ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এ কারণেই জরুরি সভা ডেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকি উপস্থিত ছিলেন।
পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকি বলেন, পিরোজপুরে করোনা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। একদিনে ৫২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং হাসপাতালে থাকা একজনের মৃত্যু হয়েছে। পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে ১৮ জন রোগী ভর্তি আছেন।
পিরোজপুরে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৯৪৭ জন। আর মারা গেছেন ৩৩ জন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি