কোনোভাবেই কমছে না শিল্প কারখানার দূষণ। ইটিপি থাকলেও স্বাভাবিক থাকছে না ক্যামিকেলের প্যারামিটার। দূষিত বর্জ্য সরাসরি খাল বা নদীতে চলে যাওয়ায় দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হচ্ছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্যের। পরিবেশ অধিদফতর বলছে, জনবল সংকটে অনেক কিছুই পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও এটিকে দায়সারা জবাব বলছেন পরিবেশবিদরা।
সাভারের কর্ণপাড়া খালের পাড়ের বাসিন্দা। এ খালের সঙ্গে রয়েছে যাদের দীর্ঘ জীবনের স্মৃতি। কেউ হয়েছেন বয়োবৃদ্ধ কেউ বা যুবক। শুধু সময়ের ব্যবধানে বিকৃত হয়েছে এ খালের পরিবেশ ও প্রতিবেশ।
কর্ণপাড়ার এ খালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আশপাশের সব কারখানার ড্রেন। এসব ড্রেন দিয়ে বিষাক্ত পানির ঢলই বলে দেয় পরিবেশ নষ্ট করার উন্মুক্ত অবকাঠামো। শুধু এমন পানি নয়, এ দৃশ্য বলে দেয় প্লাস্টিক থেকে শুরু করে, সব ময়লার ভাগাড় ধলেশ্বরীর সঙ্গে সংযুক্ত সাভারের এই খাল।
তবে বিষাক্ত পানি শোধনে অনেক কারখানায় অভ্যন্তরীণ বর্জ্য শোধনাগার, ইটিপি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার কথা থাকলেও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেন না অনেকেই। কারখানা সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে কথা না বললেও পরিবেশবিদরা বলছেন, সরকারকেই সঠিকভাবে তদারকি করতে হবে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর বলছে, কাঙ্ক্ষিত জনবল না থাকায় সঠিকভাবে মনিটরিং সম্ভব হয় না। যদিও এ অজুহাতের কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।
প্রযুক্তির সহায়তায় কারখানা দূষণরোধে পরিবেশ অধিদফতরকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
বাংলা৭১নিউজ/এএম