বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সরকারি বরাদ্দ বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে নাটোরে জোড়া খুনের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা দুলু আইনজীবীকে ৬ মাস গুম করে রাখার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বব্যাংককে বিনিয়োগের আহ্বান গাজীপুরে কৃষকদল ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে আওয়ামী লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডল জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু বেবিচক চেয়ারম্যানের সঙ্গে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৭ কোটি টাকার ক্যাবল হাওয়া, আসামি এমডিসহ ৬ সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সূচনার আহ্বান ইতালির প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক না হওয়ার কারণ জানালো নয়াদিল্লি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ৩ প্রস্তাব ঢাকাসহ ১৬ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা সাবেক শিল্পমন্ত্রীর রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম, ভেঙে ফেলা হলো হাত-পা কক্সবাজারে ৫৩০ বস্তা পলিথিন জব্দ, দুই লাখ টাকা জরিমানা মোসাদের সদরদপ্তরে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালকের শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন চট্টগ্রামে নেচে-গেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ ট্রাফিক আইন: একদিনে সর্বোচ্চ মামলা ৯৬২, জরিমানা ৩৯ লাখ টাকা

করণিকের হিসাবে ২৪.২৯ কোটি, ফাঁসলেন কলেজের চেয়ারম্যানসহ ৮ কর্তা

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

কলেজ ফান্ডের নামে একজন করণিকের হিসাবে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এফডিআরের বৈধ উৎসের ব্যাখ্যা দিতে না পারা ও আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত চার্জশিটভুক্ত আসামি হতে হলো ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, প্রিন্সিপাল ওবায়দুল্লাহ নয়ন ও ম্যানেজিং কমিটি সহ সভাপতিসহ আট জনকে।

যদিও ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর শুধু প্রধান হিসাব রক্ষক আকরাম মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দুদক। একজন করণিকের নামে কীভাবে প্রায় ২৪ কোটি টাকার এফডিআর থাকতে পারে, ঘটনার শুরু থেকেই বিষয়টি রহস্যজনক। কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্তরা পুরো টাকা কলেজের বলে দাবি করে আসছিল, তবে টাকার যথাযথ হিসাব দিতে তারা ব্যর্থ হয়ে বলে জানা গেছে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে আকরাম মিয়ার পাশাপাশি আসামি হিসেবে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, প্রিন্সিপাল মো. ওবায়দুল্লাহ নয়ন, ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি আফরোজা বেগম, কমিটির অভিভাবক সদস্য মাহফুজা রহমান বীনা ও ওমর ফারুক, কলেজের সহকারী অধ্যাপক কানিজ ফাতিমা সাফিয়া ও মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিন মিয়াকে যুক্ত করা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে থাকা ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এফডিআরের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের হিসাবরক্ষক আকরাম মিয়া। এ কারণে আকরাম মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদক উপ-পরিচালক শারিকা ইসলাম। পরে তদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ঈসমাইল।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ড. মাহবুবুর রহমান কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আকরাম মিয়ার নামে বেসিক ব্যাংকের মাতুয়াইল শাখায় ২০২২ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত পাঁচটি এফডিআর হিসাব খোলা হয়। হিসাবগুলো হলো– ৬১১৮-০১-০০১০৬৩৭, ৬১১৮-০১-০০১০৬৪২, ৬১১৮-০১-০০১০৬৫৮, ৬১১৮-০১-০০১০৬৬৩ ও ৬১১৮-০১ ০০১০৬৭৯। হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৪ টাকা স্থিতি রয়েছে। কলেজের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নামে ব্যাংকে ওই টাকার এফডিআর হিসাব থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে অর্জিত। এমনকি ওই টাকা আকরাম মিয়ার অন্যান্য হিসাব থেকেই স্থানান্তরিত হয়েছে।

আকরাম মিয়া ২০১০ সালের ১ জুন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হিসাবরক্ষক পদে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে যোগদান করেন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি কলেজে যোগদানের পর থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে বেতন পান ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪৩ টাকা। যা বেসিক ব্যাংকের এফডিআর হিসাবে জমা হওয়া ওই টাকার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।

এমনকি অ্যাকাউন্টে টাকাগুলো রাখার বিষয়ে তিনি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের গভর্নিং বডির কোনো অনুমোদন বা রেকর্ডপত্র প্রদান করতে পারেনি। তাছাড়া কলেজের আয়ব্যয় খাতওয়ারি হিসাবভুক্ত করে কলেজের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখার বিধান রয়েছে, তা কোনো কর্মচারীর ব্যক্তিগত হিসেবে রাখার সুযোগ নেই।

২০০৯ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধানমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে নিকটবর্তী কোনো তফসিলি ব্যাংকে হিসাব থাকবে, যা গভর্নিং বডি বা ক্ষেত্রমত সদস্য-সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। আকরাম মিয়া এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং অবৈধ উৎস গোপন করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যম মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং দণ্ডবিধি ১০৯, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ‘কলেজ করণিকের হিসাবে ২৪ কোটি টাকা!’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সময় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের হিসাবরক্ষক আকরাম মিয়া টাকার কথা স্বীকার করলেও তিনি ওই টাকার মালিক নন বলে জানিয়েছিলেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে ওই টাকা তার হিসাবে রাখা হয়েছে– এমন দাবি করেন তিনি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com