শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মাও সেতুংয়ের জন্মদিনে চীনের আকাশে ‘গোপন বৈশিষ্ট্যের’ যুদ্ধবিমান ক্রসফায়ারে নিহত বিএনপি নেতার পরিবারকে বাড়ি দিচ্ছেন তারেক রহমান নাশকতাকারীরা কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সুখরঞ্জন ঢাকা মেইলের সাংবাদিক কাজী রফিক আর নেই পাকিস্তানে পৃথক সংঘর্ষে এক মেজর ও ১৩ সন্ত্রাসী নিহত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক বারবার জাতীয় পতাকাকে খামচে ধরছে পুরোনো শকুন: উপদেষ্টা আদিলুর রহমান আরাকান থেকে পালিয়ে দেশে ঢুকেছে আরও ৩৪ রোহিঙ্গা তেল আবিব বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুথিদের আবাসন মেলায় ৪০৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট বুকিং নির্বাচনেও যেতে হবে কিন্তু তার আগে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে: দেবপ্রিয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল: আইএসপিআর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক হলো নির্বাচন: ফখরুল সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শুরু সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হতে হবে, কাউকে প্রতিপক্ষ ভাবা ঠিক নয় জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল হবে না: সারজিস আলম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই ঢাকামাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্ত চলছে: ফায়ারের ডিজি

কমে গেছে খেজুর গাছ, শীত এলেও নেই রস নিয়ে ব্যস্ততা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য সুস্বাদু খেজুরের রস। গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুময় খেজুর গাছ এখন আর দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে। দেখা মেলে না শীতের মৌসুম শুরু হতেই খেজুরের রস আহরণে গাছিদের তোড়জোড়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামীণ জনপদে শীতের উৎসব শুরু হতো খেজুর গাছের রস দিয়ে। শীতের মৌসুম শুরু হতেই সারাবছর অযত্ন আর অবহেলায় বেড়ে ওঠা খেজুর গাছের কদর বেড়ে যেতোো। বাড়িতে বাড়িতে লেগেই থাকতো পিঠাপুলির উৎসব। পাঠানো হতো আত্মীয় স্বজনদের বাড়িও।

তবে দাউদকান্দির গ্রামাঞ্চলের সেই চিত্র এখন আর চোখে পড়ে না। এখন আর আগের মত খেজুরের রসও নেই, নেই সে পিঠে পায়েসও। দিন দিন কমে যাচ্ছে গাছের সংখ্যাও। নেই নতুন গাছ রোপণের কোনো উদ্যোগ।

উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, আলমাছ মিয়া নামে মাত্র একজন গাছি খেজুর গাছের ছাল পরিষ্কার করে তাতে মাটির হাড়ি বেঁধে দিচ্ছেন।

এ সময় আলাপকালে তিনি বলেন, আগে আমাদের দারুণ কদর ছিল, মৌসুম শুরুর আগ থেকেই কথাবার্তা পাকা হতো কার কটি খেজুর গাছ কাটতে হবে। কিন্তু এখন আর কেউ ডাকে না। আগের মতো তেমন খেজুর গাছও নেই। আগে সকাল বেলা খেজুরের রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতাম। আয়ও হতো ভালো।

চক্রতলা গ্রামের বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম বলেন, আগে গ্রামে-গ্রামে খেজুর গাছের মাথায় মাটির হাঁড়ি বেঁধে রাখা দেখে মন জুড়িয়ে যেতো। মাত্র এক দশক আগেও উপজেলার গ্রামগুলোতে শীতের সকালে চোখে পড়তো রসের হাঁড়ি ও খেজুর গাছ কাটার সরঞ্জামসহ গাছির ব্যস্ততার দৃশ্য। সাত সকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাঁকডাক দিতেন। এখন আর সে দৃশ্য চোখে পড়ে না।

বিটেশ্বর গ্রামের গাছি ইয়াকুব বলেন, আগে যে আয় রোজগার হতো তাতে সঞ্চয়ও থাকতো। যা দিয়ে বছরের আরও কয়েক মাস সংসারের খরচ চলতো। বিটেশ্বর গ্রামে যে কয়েকটা খেজুর গাছ আছে তা বুড়ো হয়ে যাওয়ায় রস তেমন পাওয়া যায় না। রস বাজারে বিক্রির মতো আগের সেই অবস্থা নেই।

তিনি আরও বলেন, এই তো কয়েক বছর আগে এক হাঁড়ি খেজুর রস বিক্রি করতাম ৪০ টাকা। এখন খেজুর গাছ না থাকায় সে রসের দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা। অনেক সময় ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য খেজুরের গাছ কেটে ফেলা হয়। ফলে দিন দিন খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে।

মোহাম্মদপুর গ্রামের শফিউল্লা মুন্সী বলেন, কাঁচা রসের পায়েস খাওয়ার কথা এখনো ভুলতে পারি না। আমাদের নাতি-নাতনিরা তো আর সেই দুধ-চিতই, পুলি-পায়েস খেতে পায় না। তবুও ছিটেফোঁটা তাদেরও কিছু দিতে হয়। তাই যে কয়টি গাছ আছে তা থেকেই রস, গুড়, পিঠাপুলির আয়োজন করি।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু কৃষিপদক প্রাপ্ত মতিন সৈকত বলেন, মাটির নিচের জল এবং মাটির আদ্রতা কমে যাওয়ায় খেজুর গাছে আগের তুলনায় রস কম সংগ্রহ হচ্ছে। যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে ওঠায়, ভূপৃষ্ঠের রূপ পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বেশি বেশি খেজুর গাছ রোপণ করলে এর চাষ বাড়ানো সম্ভব। একই সঙ্গে গাছিদের প্রশিক্ষণ ও স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা দিয়ে খেজুর রস আহরণে উৎসাহিত করাও প্রয়োজন।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com