ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল ও কোরোসিনের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাত থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। রাতেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, জ্বালানি তেলের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে মূল্য সমন্বয় করা হতে পারে। মূল্যের ক্ষেত্রে একটি পরিবর্তন আসবে তবে এ ব্যাপারে হিসাব নিকাশ চলছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য আবারও বেড়ে যাওয়ায় কতটা সমন্বয় করা যাবে, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অ্যাডভান্সড আয় করের ব্যাপারে তেল আমদানির সময় কিছু সুবিধা পাওয়া যেত। সেই সুবিধার কারণে আমরা চিন্তা করছি যে, হয়তো তেলের মূল্য কিছুটা সমন্বয় করতে পারব। সে বিষয়ে এখনো হিসাবটা যাচাই-বাছাই চলছে। আমরা আশা করছি, এখানে একটা পরিবর্তন আসতে পারে।’
এর আগে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়।
সেসময় ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
৫ আগস্ট (শুক্রবার) রাতের ওই ঘোষণায় প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪, কেরোসিনে ৩৪, অকটেনে ৪৬, পেট্রলে ৪৪ টাকা দাম বাড়ানো হয়।
দাম বৃদ্ধির আগ পর্যন্ত ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা।
এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করে সরকার। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
সর্বশেষ ২৮ আগষ্ট (রোববার) ডিজেলের আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি ডিজেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়।
গতকাল রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, ডিজেলের ওপর আরোপিত সব আগাম কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশ পরিমাণ নির্ধারণ করা হলো। এই সুবিধা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ