সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

ওয়াসা হুমকি দিয়েছে’, অভিযোগ শরবত বানানো মিজানুরের

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে দেয়া মিজানুর রহমানকে হুমকি দিয়েছে ওয়াসার কর্মকর্তারা। আজ বুধবার দুপুরে ওয়াসার কয়েকজন কর্মকর্তা তার বাড়িতে গিয়ে তাকে শাসিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

হুমকি প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান  বলেন, ‘ওয়াসার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ নওয়াজ আলীর নেতৃত্বে ৫-৬ জন আমাকে না বলে বাসায় ঢুকে পড়ে। আমি তখন বাসায় ছিলাম না। ওয়াসার কর্মকর্তারা আমার স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে আমার পূর্ব জুরাইনের ১৭৯৬ নম্বর হাজি খোরশেদ আলী সরদার রোডের বাড়িতে ঢুকে যান। সংবাদ পেয়ে বাসায় গেলে তারা আক্রমণাত্মকভাবে আমাদের প্রশ্ন করতে থাকেন। বলেন, “আমরা নাকি ওয়াসার পানি নিয়ে নাটক করছি।” আমাদের কথোপকথন ভিডিও করেন তারা। একপর্যায়ে আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন।’

তবে হুমকির বিষয়ে লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে কদমতলী থানা পুলিশকে কিছু জানাননি মিজানুর রহমান।

‘ঢাকা ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়’ গত শনিবার (২০ এপ্রিল) সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানায় পুরান ঢাকার জুরাইনবাসী। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ওয়াসা ভবনের সামনে ‘ওয়াসার পানির শরবত’ বানিয়ে এমডিকে খাওয়াতে আসেন জুরাইনবাসী। তবে এমডি না থাকায় শরবত না খাওয়ায়েই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরে যান তারা।

সকালে তাদের প্রথমে ওয়াসা ভবনে প্রবেশে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাধা পেয়ে ঢাকা ওয়াসা ভবনের প্রধান ফটকে জুরাইন এলাকাবাসীর পক্ষে মিজানুর রহমানসহ তিন-চারজন অবস্থান নেন। অপেক্ষা করতে থাকেন এমডির জন্য। তাদের অবস্থানে আশপাশের উৎসুক মানুষের জটলা তৈরি হয়। জুরাইনবাসী ততক্ষণে ওয়াসার পানি ও লেবু-চিনি দিয়ে শরবত তৈরি করেন।

একপর্যায়ে তাদের ওয়াসা ভবনে ঢোকার অনুমতি মেলে। তবে ওয়াসার এমডি উপস্থিত না থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলেন ওয়াসার পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন। পরিচালকের রুমেই জুরাইনবাসীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠকে মিজানুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস ও নিশ্চয়তা দেন সহিদ উদ্দিন।

বৈঠকে জুরাইনবাসীকে নিয়ে আসা পানি দিয়ে বানানো শরবত পানের আহ্বান জানালে সহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আজ শরবত খাবো না। ওই এলাকার পানির সমস্যার সমাধান করে সেই পানি দিয়ে শরবত খাবো।’

ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়; ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাসকিম এ খাতের বক্তব্যকে সমর্থন করে ওয়াসার পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন জানান, ওয়াটার অ্যান্ড সুয়ারেজ অথরিটি (ওয়াসা) পানি খেয়ে কেউ অসুস্থ হলে তার দায় দায়িত্ব নেবে ওয়াসা।

সহিদ উদ্দিন বলেন, ‘এমডির বক্তব্য শতভাগ সঠিক। কারণ, আমাদের যে গভীর নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করি সেই পানি শতভাগ নিরাপদ। এছাড়াও পানি উৎপন্ন স্থল, রিজার্ভে দেয়ার আগে ও পরে তিন দফা পরীক্ষা করা হয়। পানিতে মানুষের জন্য ক্ষতিকর কিছু পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ক্লোরিন দিয়ে তা বিশুদ্ধ করা হয়।’

বৈঠক শেষে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ওয়াসার এমডির সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। আমরা তার পদত্যাগ চাই। যাই হোক, ওনারা আমাদের অভিযোগ শুনেছেন। দ্রুত সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা দেখব তারা কী করেন। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে জুরাইনসহ রাজধানীবাসীকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।’

এর আগে সকালে ওয়াসা ভবনের সামনে ‘শরবত’ নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের সময় মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকার ওয়াসার পানি ড্রেনের পানির মতো অপরিষ্কার। পান করা তো দূরের কথা, গন্ধে হাতে নেয়াই যায় না। এ অবস্থায় ওয়াসার এমডি কীভাবে বলেন, ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়, বিশুদ্ধ?’

মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘২০১২ সালে জুরাইনের সাড়ে ৩ হাজার বাসিন্দার গণস্বাক্ষর নিয়ে ওয়াসার এমডি বরাবর একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগে কোনো কাজ হয়নি। এখনো প্রতিদিন ময়লা পানি আসে। কয়েক বছর ধরে ওয়াসার পানি শুধুমাত্র গোসল, কাপড় ও বাসন ধোয়ার জন্য ব্যবহার করছি। খাওয়ার জন্য মসজিদের টিউবওয়েলের পানি কিনে খাচ্ছি। প্রতি ১০ লিটার পানির জন্য ২ টাকা দিতে হয়।’

বাংলা৭১নিউজ/এস.এ.বি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com