বাংলা৭১নিউজ(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি: ‘ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হওয়ার পেছনে আমার ভূমিকা রয়েছে। সেজন্য তিনি আমাকে স্যার বলে ডাকেন। কিন্তু আমি তাকে বলেছি আপনি এখন বড়, তাই আমাকে স্যার ডাকার দরকার নেই’- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমানকে ফোন করে এই কথাগুলো বলেছিলেন মো. ইয়াছিন খাঁ (৪০) নামে এক ব্যক্তি।
তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই খন্দকার বাবর বলে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার একটি প্রতারণার মামলায় গতকাল শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার কোতোয়ালী এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার আরেক সহযোগী আব্দুর রহিমকেও (৩৩) গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতার ইয়াছিনের বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার লালমোন এলাকায় এবং রহিমের বাড়ি কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার মনোহরদিয়া এলাকায়।
পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, ইয়াছিন নিজেকে খন্দকার বাবর এবং সরকারি বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর এলাকার আবু মুছার ছেলে মো. ইছহাককে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা নেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা নবীনগর থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, ইয়াছিন আমাকে গত ৭ সেপ্টেম্বর ফোন করে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে। সে জানায় চাকরি দেয়ার জন্য নেয়া টাকা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিয়েছে। কিন্তু তারা চাকরি প্রার্থীর কথা ডিআইজি-এসপিকে বলেননি। পরবর্তীতে আমরা তদন্তে জানতে পারি সে একজন প্রতারক। মূলত সরকারের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করাই তার কাজ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার আলাউদ্দিন চৌধুরী, বিশেষ শাখার ডিআইও-১ ইমতিয়াজ আমম্মেদ ও নবীনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস