বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বছর পাসের হার ৮৮.২৯। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ।
দুপুর ১টার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপরেই শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে।
যেভাবে ফল পাওয়া যাবে
শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ছাড়াও www.educationboardresults.gov.bd এ ঠিকানায় ফল পাওয়া যাবে।
এ ছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এ জন্য মেসেজ অপশনে গিয়ে পরীক্ষার নাম (ssc/dakhil) লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সন ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে ফল জানানো হবে।
উত্তরপত্র পুনঃনীরিক্ষণের আবেদন ১২ থেকে ১৮ মে
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনীরিক্ষণের জন্য ১২ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে জানা গেছে, টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল দিয়ে এ আবেদন করতে হবে।
এ জন্যমোবাইলে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে আরএসসি (RSC) লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
এ ক্ষেত্রে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে ফি দিতে হবে। ফিরতি এসএমএস এ আবেদন ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে।
আবেদনে সম্মত থাকলে ম্যাসেজে গিয়ে আরএসসি (RSC) লিখে স্পেস দিয়ে ইয়েস (YES) লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে নিজ মোবাইল ফোন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
যেসব বিষয়ে দুটি পত্র (বাংলা ও ইংরেজি) রয়েছে সেসব বিষয়ে একটি বিষয় কোডের (বাংলার জন্য ১০১, ইংরেজির জন্য ১০৭) বিপরীতে দুটি পত্রের জন্য আবেদন হিসেবে গণ্য হবে এবং আবেদন ফি হিসেবে ২৫০ টাকা লাগবে।
একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে কমা দিয়ে লিখতে হবে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। এরমধ্যে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ আট হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত এসএসসির তত্ত্বীয় এবং ৯ থেকে ১৪ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এস এন সি