নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে কোন ধরণের খারাপ পরিস্থিতির ঘটনা এখনও ঘটেনি। ভোটের পরিস্থিতি ভালোই আছে। নির্বাচনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করা দরকার সবই করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তবে ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের হাঙ্গামা বরদাশত করা হবে না।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার এ সব কথা বলেন। কুমিল্লা নগরীর বাদুড়তলা এলাকায় অবস্থিত নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। পরে এদিন দুপুরে কয়েকটি কেন্দ্রে মগ ভোটিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তাঁরা।
আহসান হাবিব খান আরো বলেন, প্রতিটি বুথে সংশ্লিষ্ট ভোটার ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই। কমিশন কুমিল্লায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করতে চায়। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কেউ অনিয়মে জড়িত হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার একজন জনপ্রতিনিধি। উনারা আইন প্রণয়ন করেন। যদি উনারাই আইন না মানেন, তাহলে আর কি বলবো। তাকে তো আর আমরা টেনে হিঁচড়ে নামাতে পারি না। এখানে ইজ্জত গেলো কার আপনারাই বুঝুন। ’
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, যদি ভোটের পরিস্থিতি ভালো না থাকে তাহলে নির্বাচন স্থগিত করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রয়েছে।
এমপি বাহারের কুমিল্লায় অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি আইন অমান্য করে নির্বাচনি এলাকায় আছেন। তবে আইনের কিছু ফাঁক ফোকরকে তিনি ব্যবহার করছেন। আমাদেরও সময় আসবে। ওয়েট এন্ড সি। ’
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ব্রিফিং অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকার, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ইভিএম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
১৫ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট হবে। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০। নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২ এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট হবে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএস