কয়েক বছরের আলোচনা ও যুক্তি-তর্কের পর অবশেষে চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত হতে চলেছে চীন-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য-বিনিয়োগ চুক্তি। এমনটাই জানানো হয়েছে ।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এই চুক্তির ফলে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো চীনের বাজারে আর চীনের কোম্পানিগুলো যুক্তরাজ্যের বাজারে সহজে প্রবেশাধিকার পাবে এবং এতে উভয় দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে।
সুবিধাজনক একটি চুক্তিতে পৌঁছতে ২০১৪ সাল থেকেই আলোচনা চালিয়ে আসছিল লন্ডন-বেইজিং। তবে, বেশ কয়েকটি বিষয়ে জটিলতা নিরসন করতে না পারায় তারা ঐক্যমতে আসতে পারিছল না। অবশেষে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর ব্যাপারে একমত হওয়ায় চলতি সপ্তাহেই এই দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে আভাস দিয়েছে উভয় দেশ।
নতুন এই চুক্তির ফলে চীন-মার্কিন চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্বকালে চীন কিছুটা হলেও সুবিধাজনক অবস্থান পাবে বলে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য যুক্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যকার সুবিধাজনক বাণিজ্য চুক্তি সই হওয়ার পর আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে চীন-ব্রিটেন চুক্তির বিষয়।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই চুক্তির নানান দিক তুলে ধরে আলোচনা করা হচ্ছে। চুক্তি চূড়ান্ত হলে চীনের উৎপাদন খাতের পাশাপাশি নির্মাণ, বিজ্ঞাপন, আকাশপথে যোগাযোগ ও টেলিকম খাতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
চীনের বড় চাহিদা, দেশটি যুক্তরাজ্যের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। সেক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের সুরক্ষার দাবি চীনা কোম্পানিগুলোর। আশা করা হচ্ছে, চুক্তি চূড়ান্ত হলে যুক্তরাজ্যের এই খাতের একটি অংশে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে চীন।
দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে চুক্তিটি সেভাবেই সাজানো হচ্ছে যেন চীনে বিনিয়োগে তেমন কোন প্রতিবন্ধকতার মুখে না পড়েন ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা। এজন্য জয়েন্ট-ভেঞ্চারের শর্ত তুলে দেয়া হবে, রাখা হবে না নির্দিষ্ট খাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করার বাধ্যবাকতাও- এমনটাই বলছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম