শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
তোফাজ্জল হত্যা: ঢাবির ৬ শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে ছিল আওয়ামী লীগ ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণকারী আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে ঢাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মশাল মিছিল ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধের ৪৮ দিন পর মারা গেলেন নয়ন জাবিতে শামীমকে পিটিয়ে হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা হাবিব গ্রেফতার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হলেন ফাহমিদা খাতুন দক্ষিণ সিটিকে মশার ওষুধ সরবরাহ করবে উত্তর সিটি পার্বত্য তিন জেলায় সংঘর্ষ, যা জানালো আইএসপিআর শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে ভাঙন, বাড়ি সরিয়েছে ২০০ পরিবার তিন পার্বত্য জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার নাইজেরিয়ায় বন্যায় নিহত ২৮৫ ঢাকায় আরেক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস দীঘিনালায় সংঘাত : শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দ্বিতীয় ইনিংসেও এক অঙ্কে আটকা রোহিত যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের ভেতর বিচারককে গুলি করে হত্যা শেখ হাসিনা রেহানা জয়সহ ৩৮৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যার আরেক মামলা ইউক্রেনে প্রাণ হারিয়েছে ৭০ হাজার রুশ সেনা

এনামুল বাছিরের জামিন আপিলেও বহাল

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ঘুস গ্রহণের মামলায় আট বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদন খারিজ করে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এনামুল বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

গত ১৭ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক বেঞ্চ এনামুল বাছিরকে ছয় মাসের জামিন দেন। এ জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।

গত ২২ নভেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত জামিন স্থগিত করে শুনানির জন্য ৫ ডিসেম্বর নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সেটির শুনানি হয়।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিত করেছিলেন উচ্চ আদালত। বর্তমানে তার আপিল বিচারাধীন রয়েছে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন। রায়ে এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এরমধ্যে ঘুস লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে।

তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেওয়া হয়নি। ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

পরে ৩ ফেব্রুয়ারি মিজানুর রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী শুনানি করেন। অপরদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাছিরের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

৪০ লাখ টাকার ঘুস কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা।

গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর তিনি মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। ২০২১ সালের ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুস দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুস লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুস দেন বলে দাবি করেন তিনি।

এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।

এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে।

অন্যদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেফতার করা হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com