৩৩ বছর পর সিরি ‘এ’র শিরোপা পুনরুদ্ধারে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত আরো চার দিন। সেই ১৯৯০ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার জাদুতে ইতালিয়ান লিগের শিরোপা জিতেছিল ইতালির দক্ষিণাঞ্চলের এই শহরের ক্লাবটি। ম্যারাডোনা জীবিত অবস্থায় আর দেখে যেতে পারেননি প্রিয় ক্লাবের সাফল্য। ম্যারাডোনা অনন্তলোকে পাড়ি দেওয়ার পর তাঁর নামের স্টেডিয়ামেই গতকাল উৎসবে মাতার উপলক্ষ তৈরি হয়েছিল নাপোলির। শিরোপার জন্য প্রথম শর্ত ছিল ইন্টার মিলানের কাছে লাসিওকে পয়েন্ট হারাতে হবে। ইন্টার ৩-১ গোলে জিতে সহজ করে দিয়েছিল কাজটা। নিজেদের ম্যাচে সালেরতিনাকে হারালেই অপেক্ষা ফুরাত তাদের।
ম্যাচ শুরুরও কয়েক ঘণ্টা আগে ভরে যায় গ্যালারি। স্টেডিয়ামের বাইরেও তখন হাজারো সমর্থক। তাদের হতাশ করে সালেরতিনার সঙ্গে ১-১ গোলের ড্রতে মাঠ ছাড়ে তারা। অথচ ম্যাচে ৭৩ শতাংশ বলের দখল রেখে পোস্টে ২৪টি শট নিয়েছিল তারা। তবু আসেনি একটির বেশি গোল। ৬২ মিনিটে নাপোলির একমাত্র গোলটি ম্যাথিয়াস ওলিভেরার। এই গোলের পরই সমুদ্রের গর্জন ওঠে গ্যালারিতে, যা ছড়িয়ে পড়ে পুরো নেপলস শহরে। সেটা মিলিয়েও যায় ৮৪ মিনিটে বুলায়া দিয়া সমতা ফেরালে। সমর্থকদের মাঠ ছাড়তে হয় উৎসব না করেই। তাই ২ এপ্রিল উদিনেসের মাঠে ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।
৩২ ম্যাচ শেষে নাপোলির পয়েন্ট ৭৯, দুইয়ে থাকা লাসিওর পয়েন্ট ৬১। শেষ ছয় ম্যাচে ১৮ পয়েন্টের এই ব্যবধান মেটানো কঠিন। নাপোলি শেষ ছয় ম্যাচ হারলে আর লাসিও ছয়টি ম্যাচ জিতলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান। তখন দেখা হবে হেড টু হেড। মুখোমুখি লড়াইয়ে সমতা আছে দুই দলের। সে ক্ষেত্রে শিরোপা নির্ধারিত হবে গোল ব্যবধানে। নাপোলি গোল ব্যবধানে এগিয়ে ৪৬-২৬-এ। তাই কাগজে-কলমে না হলেও বলা যায় শিরোপা উল্লাসে মাতাটা সময়ের অপেক্ষা নাপোলির।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম