শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি উসমান খানের ডাকসু নিয়ে আমরা অনেক আগ্রহী : ঢাবি উপাচার্য শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে সরকারের বরাদ্দ ৩৪ কোটি টাকা আমাদের ঐক্যের যুদ্ধে ব্যর্থতা রয়েছে: মির্জা ফখরুল ভারতের চক্রান্তে প্রতিবেশী দেশে একের পর এক গুপ্তহত্যা তরুণ প্রজন্মের ত্যাগ বৃথা হতে দেওয়া যাবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনকে গ্রেপ্তার নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে কাজ চলছে: উপদেষ্টা বিদেশে বন্ধু চাই, প্রভু নয়: জামায়াত আমির রাজধানীতে ‘হট্টগোল শিশু উৎসব’ শুরু ৩ হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি তুরস্কের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে শীতার্তদের জন্য ৭ লাখ কম্বল সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের কাছে তথ্য উপদেষ্টার চিঠি মসজিদুল আকসার ইমাম ১০ দিনের সফরে বাংলাদেশে চিটাগংকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল রাজশাহী বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নাঈমুল ইসলাম ও তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ১৬৩টি, জমা ৩৮৬ কোটি ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ঝরল ৪ প্রাণ, আহত ২১

উল্লাপাড়ায় গবাদি পশুর সিজারসহ ময়না তদন্ত, ঘুরে দাড়াচ্ছে খামারীরা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮
  • ২৭৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, জয়নাল আবেদীন জয়, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:  চিকিৎসার অভাবে এখন আর কোন গবাদিপশু অকালে মারা যায় না। পোল্টি খামারে মড়ক লেগে লেয়ার, বয়লার, সোনালী মুরগী মরে কোন খামারী আর পথে বসে সর্বশান্ত হয়না।  প্রসব জনিত সমস্যায় এখন আর মরে না গবাদিপশু।  অবাস্তব নয়, সত্য। প্রাণী সম্পদ অফিসে এখন গবাদিপশুর সিজারসহ ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। সেই সাথে একটি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সঠিক চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেয়ায় ঘুরে দাড়াচ্ছে তিনটি জেলার কয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার ডেইরী ও পোল্টি খামারীরা।

গত কয়েক বছর ধরে এক জন চিকিৎসকের হাত ধরে নীরবে গবাদিপশু ও পোল্টি শীল্পে এমন সফলতা বয়ে এনেছেন সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও নাটোর জেলার হাজার হাজার খামারীরা।  প্রাণী সম্পদ বিভাগে খামারীদের সেই সুদিন ফিরিয়ে দেয়া চিকিৎসক হচ্ছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ শেখ এম.এ.মতিন। একই সাথে কৃত্তিম প্রজননের মাধ্যমে গবাদিপশুর উন্নত জাত পরিবর্তনের সফলতাও আসছে এসব এলাকার ডেইরি সেক্টরে।  এ চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রাণীসম্পদ বিভাগে আশার আলো জাগিয়েছে।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কামারখন্দ, পাবনার ফরিদপুর, চাটমোহর, ভাংগুড়া, নাটোরের গুরুদাসপুর, বাড়াইগ্রাম, সিংড়া উপজেলার খামারীরা প্রয়োজীয় চিকিৎসা সেবা ও পরার্মশের অভাবে ডেইরী ও পোল্টি শীল্পে একের পর এক ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছিলেন। সেই পরিস্থিতি থেকে তারা এখন ঘুরে দাড়িয়ে এ শিল্পে নতুন করে বিনিয়োগ করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে।

উল্লাপাড়া প্রাণী সম্পদ অফিসে দক্ষ ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ শেখ এম.এ.মতিন যোগদানের পর থেকে এসব এলাকার খামারীদের  প্রান্তিক পর্যায়ে দ্রুত চিকিৎসা সেবা ও সার্বিক পরার্মশ দেয়ায় হাজার হাজার খামারী এমন সফলতা পেতে শুরু করেছে। এই দক্ষ সার্জন উল্লাপাড়ায় যোগদানের পর থেকে এই প্রাণী সম্পদ অফিসে বাচ্চা প্রসবে অধিক দূর্বল গর্ভবতী গরু, ছাগল, ভেড়ার সিজার করে বাচ্চা প্রসাব করাচ্ছেন প্রতিনিয়িত। একই সাথে ডেইরী ও পোল্টি খামারের রোগাক্রান্ত ও মৃত গবাদিপশু ময়না তদন্ত করে রোগ সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও  পরার্মশ দেয়া দিচ্ছেন। এতে পোল্টি ও ডেইরী শিল্পের খামারীরা মারাতœক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। একই সাথে পশু পাখির বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রোগ সনাক্ত করে আগাম চিকিৎসা সেবা দেয়ায় দারুন সফলতা পাচ্ছে খামারীরা।

এই চিকিৎসকের পরামর্শ ও সহায়তায় খামারীরা অতীতের ক্ষতি পুশিয়ে এখন লাভবান হয়ে খামারী সহ বেকার যুবক যুবতীরা এ শিল্পে তাদের ভাঘ্যর চাকা ঘুরাতে সক্ষম হয়েছে। অল্প দিনে এই দক্ষ চিকিৎসকের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন উল্লাপাড়া প্রাণী সম্পদ অফিসে সিরাজগঞ্জ,পাবনা,নাটোর জেলার সেবা প্রত্যাশী খামারীরা সহ স্থানীয় খামারীদের ভীড় লেগেই থাকে। ওই চিকিৎসকের অফিস চেম্বারটিতে গবাদিপশু মালিক ও খামারীদের সার্বক্ষনিক ভীড় থাকছে। এরই ফাঁকে খামারীদের মুঠোফোনে গবাদিপশুর গুরুতর অসুস্থের সংবাদ পেয়ে  তিনি ছুটছেন এসব এলাকার গ্রামগঞ্জে খামারীদের বাড়ী বাড়ী। দিন কি রাত তিনি এভাবে অবিরাম খামারীদের সার্বক্ষনিক নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে চলেছেন।

গত সোমবার সকালে দেখা যায়, উল্লাপাড়া প্রাণী সম্পদ অফিসে পৌর শহরের কাওয়াক মহল্লার স্বপন মিয়ার দূর্বল গর্ভবতী ছাগলের সফল সিজার করে একটি বাচ্চা প্রসব করান ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ শেখ এম.এ.মতিন। এ সিজারের পর ছাগলটি এখন সুস্থ সবল আছে।

উল্লাপাড়া  উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের ছাগলের খামারী মো.সেলিম জানান, তিনি এক সময় ছাগল পালন করে ক্ষতির মুখে পড়ে বেকার হয়ে যান। পরে এ চিকিৎসকের পরার্মশ ও সহায়তায় ছাগলের খামার করে সফলতা পেয়েছেন। ৩টি ছাগল দিয়ে শুরু করে এখন তার খামারে ৩৮টি ছাগল রয়েছে। তিনি বলেন,এই চিকিৎসকের সার্বক্ষনিক পরার্মশ ও চিকিৎসা সেবায় সে ঘুরে দাড়াতে সক্ষম হয়েছে। তিনি এখন এ জেলার সফল ছাগল খামারী। তার মত একই কথা জানালেন,উল্লাপাড়া পৌর শহরের কাওয়াক মহল্লার গবাদিপশু মোটা তাজা করন খামারী মো.আনোয়ার হোসেন। তিনিও এই চিকিৎসকের পরার্মশ ও চিকিৎসা সহায়তা পেয়ে খামার করে এখন অনেক লাভবান হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেটেরিনারি সার্জন ডাঃ শেখ এম.এ.মতিন জানান,এই প্রাণী সম্পদ অফিসে গবাদি পশুর সিজার সহ ময়না তদন্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরার্মশ দিচ্ছি। খামারীদের সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সহায়তা সহ যাবতীয় পরার্মশ দিচ্ছি। যে কোন সময় খামারীরা খবর দিলে তাদের বাড়ীতে গিয়ে গবাদিপশুর সিজার সহ ডেলিভারী করে দিচ্ছি। খামারীদের সার্বক্ষনিক এই চিকিৎসা সেবার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি জানান,আমার একটু সহযোগীতা ও পরার্মশে যদি একজন খামারী একটু সফলতা পায় সেটাই আমার তৃপ্তি। খামারীর মুখে হাসি দেখলেই আমার জীবনের সেরা পুরষ্কারটি পেয়ে যাই। প্রতিনিয়ত তিনি এভাবেই খামারীদের সহায়তার তার সেবার হাত বাড়িয়ে রাখবেন বলে এ দক্ষ চিকিৎসক জানান।

 

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com