সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
জমজমের বলে ট্যাপের পানি বিক্রি করে ২৫ লাখ ডলার আয় হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কলরেকর্ড ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ এবার কি ভাইজানের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন কঙ্গনা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবিতে জবির প্রধান গেটে তালা চট্টগ্রামে ডাকাতি-মাদকসহ ১৫ মামলার আসামি গ্রেপ্তার ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বরখাস্ত বাড়িতে ঢুকে উল্টে গেলো ট্রাক, ঘুমন্ত নারী নিহত ট্রেন লাইনচ্যুত, রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে দৈনিক সাশ্রয় ৫২ লাখ টাকা জামায়াতের আমিরের সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ এবার আলোচনায় টিউলিপের পারিবারিক বন্ধু সালমানপুত্র শায়ান কাফরুল থানায় করা হত্যা মামলায় কারাগারে কামাল মজুমদার বিধ্বস্ত রিয়াল, সুপার কাপ বার্সার ঘরে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আবারও ক্যাডেট এসআইদের অবস্থান কর্মসূচি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ৮ দলের স্কোয়াড ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ খালেদা জিয়াকে নিয়ে সুখবর দিলেন তার সফরসঙ্গী গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ২৮ ফিলিস্তিনি গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের তালিকা প্রকাশসহ ৯ দাবি

উচ্চবিত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করছে ‘ম্যাজিক মাশরুম’

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

এলএসডি ও ডিএমটির পর দেশে উদ্ধার হলো নতুন মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুম’। এই মাদক সেবনের পর মারাত্মক হ্যালোসিনেশন তৈরি হয়, যার ফলে সেবনকারী নিজের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

কখনো উড়তে চেয়ে তাদের ছাদ থেকে ঝাপ দেওয়ার ইচ্ছা জাগে। এছাড়া সেবনকারী পশু-পাখির সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। গাছ থেকে অক্সিজেন আসছে কিনা তা গাছ জড়িয়ে ধরে অনুভব করার অভিনব কাণ্ড ঘটিয়ে থাকে।

‘ম্যাজিক মাশরুম’ নামে এই সাইকেলেডিক ড্রাগটি খাবারে কেক ও চকলেট মিক্স অবস্থায় সেবন করা হয়। এছাড়া পাউডার ও ক্যাপসুল হিসেবেও পাওয়া যায়। উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কয়েকজনের মাধ্যমে নতুন এই মাদকের সঙ্গে পরিচয়। এরপর তাদের মাধ্যমে চকলেট হিসেবে লাগেজে এগুলো আনা হয়। এখনো ব্যাপক আকারে না ছড়ালেও উচ্চবিত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা এই মাদক গ্রহণ করছেন।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দিনগত রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুম’ ও বিদেশি মদসহ দুই যুবককে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ম্যাজিক মাশরুমের পাঁচটি বার উদ্ধার করা হয়, প্রতিটি বারে রয়েছে ২৪টি করে স্লাইস।

আটক দু’জন হলেন- নাগিব হাসান অর্নব (২৫) ও তাইফুর রশিদ জাহিদ (২৩)।

বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, নাগিব হাসান অর্নব বাংলাদেশে এসএসসি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছেন। এ সময় তাইফুর রশিদ জাহিদ তার সহপাঠী ছিলেন। অর্নব পরবর্তীতে ২০১৪ সালে কানাডায় গিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষে কর্মরত রয়েছেন।

তাইফুর রশিদ জাহিন প্রথমে গাজা ও মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন। এরপর তিনি ২০১৯ সালে ক্রমান্বয়ে এলএসডি, ডিএমটিসহ বিভিন্ন ধরনের সাইকেডেলিক ড্রাগ নিয়মিত সেবন ও বিক্রি করা শুরু করে।

সাইকেডেলিক ড্রাগ সম্পর্কে তার আগ্রহ সৃষ্টি হলে ইন্টারনেটে সেই সাইকেডেলিক ড্রাগের ওপরে অনুসন্ধান শুরু করে। এরপর বাংলাদেশে জন্মানো বিভিন্ন মাশরুমের মধ্যে সাইকেডেলিক বা ‘ম্যাজিক মাশরুম’ রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।

একপর্যায়ে ডার্ক সাইটে ‘ম্যাজিক মাশরুমের’ খোঁজ পাওয়া যায়। তার প্রস্তাব অনুযায়ী কানাডায় অবস্থানরত অর্নব মুনাফার লোভে ‘ম্যাজিক মাশরুম’ পাঠাতে রাজি হয়। গত মে মাসে অর্নব ‘ম্যাজিক মাশরুমে’র একটি চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে অর্নব ও জাহিদ এই ম্যাজিক বারগুলো বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, এই ড্রাগটি কেক ও চকলেট মিক্স অবস্থায় সেবন করা হয়। এছাড়াও পাউডার ও ক্যাপসুল হিসেবেও পাওয়া যায়। এই ড্রাগ ব্যবহারে সেবনকারীর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

এমনকি কেউ কেউ ছাদ থেকে ঝাপিয়েও পড়তে পারে। কখনো উড়তে চেয়ে তাদের ছাদ থেকে ঝাপ দেওয়ার ইচ্ছা জাগে। এছাড়া সেবনকারী পশু ও পাখির সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। এমনকি গাছ থেকে অক্সিজেন আসছে কিনা তা গাছ জড়িয়ে ধরে অনুভব করার অভিনব কাণ্ড ঘটিয়ে থাকেন।

এই মাদক সেবনে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। আট থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। এটি সেবনের পর সেবনকারীরা নিজেকে কালারফুল ভাবতে থাকেন। ‘ম্যাজিক মাশরুম’ সেবন করে তাইফুর নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং অত্যন্ত বিভৎসভাবে নিজেই নিজের হাতের বিভিন্ন অংশ ধারালো বস্তু দিয়ে কেটে ফেলেন।

প্রত্যেকটি বারে থাকে ২৪টি করে স্লাইস থাকে উল্লেখ করে খন্দকার আল মঈন বলেন, একেকটি বার বাংলাদেশে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছিল। যা কানাডায় দাম ৪০ কানাডিয়ান ডলার। বিট কয়েন পেপলসহ অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে মাদকের অর্থ লেনদেন হচ্ছে। কখনো কারবারি নিজেই চকলেটের আড়ালে নিয়ে আসছে এই ‘ম্যাজিক মাশরুম’। বিভিন্ন যাত্রীর লাগেজের মাধ্যমেও এই মাদক দেশে আমদানি করা হচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com