রাজধানীর ধানমন্ডিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন- মালিক তসলিমা চৌধুরী কনা আলম (৫৭) ও ফারনাস আলম (৩২) এবং অপর গ্রেপ্তাররা হলেন- এমদাদুল হাসান (৫৩), তসলিম আরিফ ইলিয়াস (৫২), এইচ এম জুয়েল খন্দকার (৩৩)।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের শাখা থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে।
মামলার বিষয়ে ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের শাখায় ফেশিয়াল করতে যাওয়া এক ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন কক্ষে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর পাওয়া যায়। অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেছে।
আটক তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে কনা আলম ও ফারনাস আলম নামের দুজন মালিক পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালছে।
কার নির্দেশে স্পর্শকাতর কক্ষে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে— জানতে চাইলে ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তা আমাদের জানিয়েছেন মালিক পক্ষের সিদ্ধান্তেই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া, জব্দ করা ক্যামেরার ডিভিআরে বিভিন্ন কক্ষের ফুটেজ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ক্যামেরার কোনো ফুটেজের অপব্যবহার হয়েছে কি না সেটি জানতে তদন্ত চলছে।
তিনি আরো বলেন, মৌখিক অভিযোগকারী নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে থানা পুলিশের অভিযানে স্পর্শকাতর স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়া যাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ