ঈদের আগে শেষ সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে ন্যাশনাল টি। এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার পছন্দের শীর্ষে উঠে আসে। এতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে কোম্পানিটির শেয়ার। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঈদের আগের শেষ সপ্তাহের লেনদেন শুরু হওয়ার আগে ন্যাশনাল টি’র প্রতিটি শেয়ার দাম ছিলো ৬০০ টাকা ১০ পয়সা। এরপর দাম বাড়তে বাড়তে শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ৭৪৫ টাকা ৪০ পয়সায় উঠেছে। অর্থাৎ তিনদিনে শেয়ার দাম বেড়েছে ১৪৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৪ দশমিক ২১ শতাংশ।
শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ১৯৭৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২১ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। এছাড়া ২০২০ সালে ৫ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। এছাড়া ২০১৮ সালে ২২ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ১৮ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৬৬ লাখ। এর মধ্যে ৪৪ দশমিক ৯০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। সরকারের কাছে আছে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার আছে।
এদিকে শেয়ারের দাম বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ার বড় অঙ্কে লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ২৩ লাখ ১২ হাজার টাকা।
গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে দখল করেছে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস। কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এমারেল্ড অয়েল।
এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ দশে স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মেট্রো স্পিনিংয়ের ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডের ১২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কের ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ, মুন্নু এগ্রো ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ দাম বেড়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ