বিগত ছয় বছর সময় ধর ইয়েমেনে সৌদি আরব যে লড়াই চালাচ্ছে, সেই সেই লড়াইয়ে সৌদিকে আর সাহায্য করবে না আমেরিকা। বরং শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে কিভাবে মীমাংসাসূত্র তৈরি করা যায় সেই চেষ্টা চালাবে বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
২০২০ সালে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ১১৬ কোটি ইউরো বা ১৪১ কোটি ডলারের অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে জার্মান সরকার৷ এই দেশগুলো ইয়েমেন আর লিবিয়ায় প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িত ছিল৷ জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয় দেশটির গ্রিন পার্টির এক সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংসদের নিম্নকক্ষে এই তথ্য জানিয়েছে৷
বৃহস্পতিবার প্রথমে এ বিষয়ে প্রথম বিবৃতি দেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। পরে বাইডেন নিজেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনো ভাবেই আর সৌদি আরবকে যুদ্ধে মদত দেওয়া হবে না। বরং ইয়েমেনে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাস্তা খোঁজা হবে। তবে এর ফলে সৌদি আরবের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হবে না। অ্যামেরিকা কেবল যুদ্ধ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবে।
২০১৪ সালে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা আক্রমণ শুরু করে। ক্রমশ তারা ইয়েমেনের দখল নিতে শুরু করে। সে সময় সৌদি সহ একাধিক মুসলিম দেশ তার বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে। তাদের সাহায্য করে অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা বিশ্ব। মানবাধিকার সংস্থাগুলির বক্তব্য, দীর্ঘ ছয় বছরে ইয়েমেনে এক লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধের ফলে দেশে তীব্র অনাহার শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে ইয়েমেন। এই অবস্থায় শান্তিপূর্ণ আলোচনাই একমাত্র পথ বলে মনে করছেন বাইডেন।
এদিন রাশিয়াকেও এক হাত নিয়েছেন বাইডেন। বলেছেন, যে ভাবে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়া নাক গলিয়েছে, যে ভাবে নিজের দেশের নাগরিককে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা করেছেন পুটিন, অ্যামেরিকা তা ভালো চোখে দেখছে না। সব কিছুর দিকেই অ্যামেরিকা কড়া নজর রাখছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি