বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীকে নিয়ে দলের কোনো কর্মসূচি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে ঢাকার সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নিজের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান গয়েশ্বর।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর বনানীর রাস্তা থেকে গাড়ির চালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী। গতকাল রোববার ছিল তাঁর নিখোঁজ হওয়ার চতুর্থ বার্ষিকী। এদিন ইলিয়াস আলীকে নিয়ে বিএনপির কোনো কর্মসূচি ছিল না।
গয়েশ্বর অভিযোগ করেন, অতীতে যারা ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে ছিল, তারা এখনো তাঁর বিরুদ্ধে সক্রিয়। ইলিয়াস আলীর অনুসারীদের রাজনীতিতে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা একে একে খসে পড়ছেন। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিনের মাথায় বিএনপির আন্দোলন কেন থেমে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই নেতা।
ইলিয়াস আলীকে স্মরণ করতে ভয় কেন—এমন প্রশ্ন তুলে গয়েশ্বর বলেন, ‘ইলিয়াস আলীর জন্য সিলেটের আবেগপ্রবণ ছাত্ররা ঢাকায় সংগঠিত হয়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করায় ইলিয়াস আলীর প্রতি মমত্ববোধ প্রকাশের সামান্য সুযোগ পেলাম। কিন্তু ইলিয়াস আলী সিলেটের লোক হিসেবে অন্তর্ধান হয়েছেন, তা নয়। বিএনপির একজন নেতা হিসেবে অন্তর্ধান হয়েছেন, সরকার তাঁকে চরমভাবে ভয় পেয়েছে বলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ইলিয়াস আলী আছেন কি নেই, জানি না। যদি ইলিয়াস আলী থাকেন, দূর থেকে দেখছেন আমাদের কর্মকাণ্ড। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো দেখতে পাচ্ছেন এসব কর্মকাণ্ড।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীরকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আয়োজন সংগঠনের সভাপতি মোহন মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।