নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও সুন্দর হয়েছে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি ছিল। এতে ভোট কম পড়েছে।
৫৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি এবং ভোট কম পড়ার কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সচিব আরো বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে মতামত চেয়েছি। এ ছাড়া টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠকে বসবো। কিভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের গতি বাড়ানো যায়, ভোট পড়ার হার বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করব।
তিনি বলেন, অনেক জায়গায় কাগুজে ব্যালটের পরিবর্তে নির্বাচনে ইভিএম চেয়েছে। এতে এনআইডি আর আঙ্গুলের ছাপ না মিললে কোনোভাবেই ভোট দেওয়া যায় না। এই কারণে মাঠ কর্মকর্তাদের ইভিএমের প্রতি ঝোঁক বেশি। কাগুজে ব্যালটের ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ। আর ইভিএমে প্রক্রিয়া বেশি। তবে মেশিনে কোনো জটিলতা নেই।
ইসি সূত্র জানায়, এই নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছে ৪১ লাখ ৮২ হাজার ২৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটর ২১ লাখ ১৪ হাজার ৭২০ জন, নারী ভোটার ২০ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ জন এবং ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে।
নির্বাচনে সারা দেশে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ হাজার ৬০৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ১৯৯, সংরক্ষিত আসনে ২ হাজার ৫৫৯ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৭ হাজার ৮৪৬ জন।
এদিকে ষষ্ঠ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৪৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১০০ প্রার্থী রয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ