আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে যেমন সাড়ে সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনি আবারও ১৮ কোটি জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই চেতনা ধারণ করে দেশকে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আজকে নতুন প্রজন্ম যখন ইতিহাস জানবে, তাদের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষ মুখরিত হবে। সারাদেশের মানুষ জেগে উঠবে, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) ঘৃণা করবে, তাদের রাজনীতির কবর হবে।’
শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুবলীগের উদ্যোগে ‘২৫ মার্চের কালরাত্রি স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৪ দলের এ মুখপাত্র বলেন, ‘গণহত্যা দিবসকে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এখন সংসদে পাস করতে হবে। বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করে সরকার সংরক্ষণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কেউ কোনো দিন ভাবেননি, কেউ কোনো দিন চিন্তা করেননি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা আজকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। এর মধ্য দিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। সঠিকভাবে বিচার করার মধ্যে দিয়ে রাজাকাররা চিহ্নিত হয়েছে।’
শেখ হাসিনাকে বারবার কেন প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়, তা বর্ণনা করে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘শেখ হাসিনা তো কারও পৈতৃক সম্পত্তিতে টান দেননি। রাজনৈতিক কারণেই তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি, যারা শেখ হাসিনা বিদেশে থাকার কারণে পঁচাত্তরে হত্যা করতে পারেননি, তারা আজকে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে তার প্রতি আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, দলের বিরুদ্ধে নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র। এ যড়যন্ত্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধের কথা যদি এ প্রজন্ম জানতে পারতো, এ দেশের মাটিতে ওরা সরকার গঠন করতে পারতো না।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রাকিবুল হাসান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, উত্তরের সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ