শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যায় ৬ জনের ফাঁসি বহাল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনের ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন ৭ জনকে। খালাস দেয়া হয়েছে ১৩ জনকে।

বুধবার দুপুরে বিচারপতি এম ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণদেব নাথের দুই সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে। রায়ের পর্যবেক্ষণে এই হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলেছেন হাইকোর্ট।

২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। এসময় তার সঙ্গে খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরো একজন। ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে টঙ্গি থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরো ১০/১২ জনকে।

তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৮ অক্টোবর গঠন করা অভিযোগ। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস দেয়া হয় দুজনকে।

নিম্ন আদালতের রায়ের পর একই বছর ২২ আসামির ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। ১৪ জন মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। দুজন হাইকোর্টে ফৌজদারি বিবিধ আবেদন করেন। জেল আপিল করেন একজন। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে এসব আবেদনের উপর শুনানি শুরু হয়ে শেষ ৮ জুন। বুধবার রায়ের দিন ধার্য ছিলো আগে থেকেই।

তবে ন্যায় বিচার পাননি দাবি করে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার কথা জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী।

জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে টঙ্গি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর টঙ্গি এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা আদালত এলাকায় জড়ো হন।

এদিকে, নিম্ন আদালতে ঘোষিত ২২ জনের পরিবর্তে হাইকোর্টের রায়ে ৬ জনের ফাঁসি ঘোষণা করায়, এ রায়ে আংশিক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল।

বুধবার দুপুরে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানান আহসান রাসেল।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com