সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে সব বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা, ভূমিধসের শঙ্কা আরও ৫০০ কোটি ডলার দান করলেন ওয়ারেন বাফেট ‘সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে কর্পোরেট নির্ভরশীলতা কমাতে হবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন সংস্থার এপিএ চুক্তি এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত প্রায় ১০ হাজার বাজেটে বিদেশনির্ভরতা কমিয়ে আনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধীদের রেকর্ডভাঙা জয়ের পূর্বাভাস, কত আসন পাবে লেবার পার্টি বিশ্ববিদ্যালয় অচল হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত ভারতকে রেল করিডোর দেওয়া দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিদেশ যেতে মতিউরের স্ত্রীর আবেদন এবার সেই ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামি বাবুর হাইকোর্টে জামিন শিক্ষার দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন এএফডব্লিউসি প্রশিক্ষণার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষার সময় বৃষ্টি হলে সময় বাড়বে নুর ও রাশেদের বিরুদ্ধে ভবন মালিকের মামলার প্রতিবেদন পেছাল ৯৯৯-এ ফোন করে মেঘনায় আটকে পড়া ৭ ছাত্র উদ্ধার বেড়েছে অনলাইন জুয়া, নিয়ন্ত্রণে দরকার সমন্বিত প্রচেষ্টা

আলংকারিক, তবু প্রেসিডেন্ট পদ নিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি কেন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে
এপ্রিলে মেয়াত শেষ হচ্ছে প্রেসিডেন্ট মো আব্দুল হামিদের।

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন আজ (বৃহস্পতিবার) নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়সূচী ঘোষণা করে জানিয়েছে, আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচন হবে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে ২৩শে এপ্রিল।

বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খুবই সীমিত।

শর্তসাপেক্ষে তিনি নিজে থেকে শুধু দু’টি কাজ করতে পারেন, তা হলো প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করা। এর বাইরে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া রাষ্ট্রপতি কিছুই করতে পারেন না।এমনকি বছরের শুরুতে রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদে যে ভাষণ দেন, সেই ভাষণও সরকার তৈরি করে দেয়।

কিন্তু একেবারেই অলংকারিক এই পদটির জন্য কাউকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাকে কেন এত প্রাধান্য দেয়া হয়? রাজনৈতিক দলগুলোরই বা কেন এত আগ্রহ?

অন্যতম একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড: শাহ দ্বীন মালিক বলেন, “সংবিধানে ক্ষমতা সীমিত হলেও রাষ্ট্রপতি অনেক সময় নৈতিক অবস্থান নিতে পারেন।”

কিন্তু আগে কাউকে সেরকম কোনো অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। ২০০৬ সালে নির্বাচন কালীন সরকার গঠন নিয়ে সংকটের সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজ উদ্দিন আহমেদের ভূমিকায় সংকট বরঞ্চ আরো ঘনীভূত হয়েছিল।

এরপরও বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করেছিলেন। কিন্তু সমস্যার বিন্দুমাত্র সমাধান হয়নি।

শপথ নিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন আহমেদ (ফাইল ফটো)।

শপথ নিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন আহমেদ (ফাইল ফটো)।

 

তাহলে এই পদটিকে এতটা গুরুত্ব কেন দেয় দলগুলো?

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিবিসিকে বলেন, রাষ্ট্রপতি এবং সরকারের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ থাকলে সেটা দেশ পরিচালনায় প্রভাব পড়ে।

“সাহাবুদ্দিন আহমদকে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগই রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল।ঐ সময়টায় আমরা দেখেছি, এটি (প্রেসিডেন্ট পদটি) দলের বাইরে গেলে অসুবিধা হয়।”

“রাষ্ট্রপতি এবং যে দল ক্ষমতায় থাকবে, তাদের মধ্যে যদি সমঝোতা বা বোঝাপড়া না থাকে, তাহলে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হতে পারে … বিষয়টা সরকারের জন্য আমি বলবো বাঞ্ছনীয় নয়।”

২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে তাদের দল থেকেই অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিলো। কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপতি হবার পর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করার পর তারই দলের সরকারের সাথে অধ্যাপক চৌধুরীর টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছিল।

সেট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যদের অভিশংসনের মুখে অধ্যাপক চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদ হারাতে হয়েছিল।

এর আগে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ নির্দলীয় ব্যক্তি হিসেবে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছিল। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জননিরাপত্তা আইন নামের একটি বিতর্কিত আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সই করেননি। সেকারণে তার সাথে তৎকালীন সরকার এবং আওয়ামী লীগের তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। তখন সেই সম্পর্কে আর উন্নতি হয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী মনে করেন, যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির নৈতিক অবস্থান নেয়ার সুযোগ আছে, সেকারণে এই পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনরা দলের প্রতি অনুগত ব্যক্তির বাইরে বেরুতে পারছেনা।

“বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাষ্ট্রপতি থাকার সময় আইনের ভিতরে থেকেই একটা স্পেস তৈরি করতে চেয়েছিলেন।কিন্তু তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলগুলো সেটুকুও সহ্য করতে পারেনি।জাতীয় কোন সংকটে কিন্তু রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হয়ে যায়, সেই সংকটে ভূমিকা রাখার। আমাদের দলগুলোর যে সংস্কৃতি, তারা সে রকম ব্যক্তিকে ঐ পদে চায় না।”

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:বিবিসি বাংলা/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com