কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে আটক পণ্যবাহী একটি কার্গো বোট ১৬ দিন পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে পণ্যবাহী বোটটি টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছেছে। এর আগে ২০ জানুয়ারি আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা দুটি কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরের পৌঁছেছিল।
পণ্যবাহী বোট ঘাটে পৌঁছার তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এর আগে দুটি পণ্যবাহী কার্গো বোট আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। এই বোটগুলো মালামাল খালাস করে ইয়াংগুনে ফিরে গেছে।
তিনি বলেন, ১৬ দিন পর আরাকান আর্মির হাতে আটক বোটটিও ছাড়া পেয়েছে। সেটি ঘাটে নৌঙরে আছে। আমাদের কার্যক্রম শেষে, মালামাল খলাস করা হবে।এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনায় আটক করা হয় পণ্যবাহী তিনটি কার্গো।
এসব কার্গোতে ৫০ হাজার বস্তা শুটকি, সুপারী, কপিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। এর মধ্য গত ২০ জানুয়ারি দুটি বোট ছেড়ে দিয়েছিল আরাকান আর্মি। সেখানে ২৭ হাজার ৭২২ বস্তা মালামাল ছিল।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ১৬ দিন পর আটকে থাকা পণ্যবাহী কার্গো বোট ছেড়ে আরাকান আর্মি।
বোটটি ঘাটে পৌঁছেছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে এসব পণ্যবাহী বোট আটকে রাখার পর ইয়াংগুন থেকে কোনো পণ্যবাহী বোট আসেনি।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘দেড় মাস পর ১৬ জানুয়ারি শনিবার ইয়াংগুন থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীর পণ্যবাহী কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নাফ নদের মোহনায় সে দেশের জলসীমানার নাক্ষ্যংকদিয়া এলাকায় তল্লাশির নামে পণ্যবাহী তিনটি বোট আটকে দিয়েছিল আরাকান আর্মি।
এর মধ্যে আচার, শুঁটকি, সুপারি, কপিসহ ৫০ হাজারের বেশি বস্তা পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো. আয়াছ, এম এ হাসেম, মো. ওমর ওয়াহিদ, আবদুর শুক্কুর সাদ্দামসহ অনেকের।
সর্বশেষ সোমবার সকালে সাতুরু এবং এমবি হারিকিউলিস নামে দুটি পণ্যবাহী বোট ফেরত আসলেও একটি কার্গো বোট আরাকান আর্মি হেফাজতে ছিল। সেটিও শনিবার ছেড়ে দিছে। এই বোটে ৩০ হাজারের বেশি বস্তা মালামাল রয়েছে।
এ বিষয়ে আমদানিকারক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘আরাকান আর্মির হাত থেকে ১৬ দিন পর পণ্যবাহী কার্গো বোট ঘাটে পৌঁছেছে। সেখানে আমাদের ১৬ শ’ বস্তা শুটকি রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আরাকান আর্মি থেকে ছাড়া পেয়ে আরও একটি পণ্যবাহী কার্গো ঘাটে পৌঁছেছে। তাদের পরবর্তী কার্যক্রম চলছে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ