সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চরের উন্নয়নে নজর দিতে হবে: উপদেষ্টা হাসান আরিফ ঢাবির ৫ শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা: যবিপ্রবির কর্মকর্তা গ্রেফতার ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না: সারজিস আলম প্রধান উপদেষ্টার অধীনে ৪ মন্ত্রণালয়-বিভাগ প্রথমে স্বরাষ্ট্র এরপর পাট এবার শ্রমে সাখাওয়াত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে আলী ইমাম মজুমদার শপথ নিলেন নতুন ৩ উপদেষ্টা ছয় উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন উপদেষ্টা হচ্ছেন চলচ্চিত্রকার ফারুকী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব মহিউদ্দিন মারধর করে দুই নারী ‘আ.লীগ কর্মী’কে দেওয়া হলো পুলিশে অক্টোবরে ৪৪৩ সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরেছে ৪৬৯ প্রাণ শেখ হাসিনার অডিও ক্লিপের নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী ৫০ জন গ্রেফতার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা চাইলেন নাটোরে আওয়ামী লীগের ৩৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার দখলের মচ্ছব, বন বিভাগই জানে না বনের সীমানা রাশিয়ার রাসায়নিক কারখানায় ইউক্রেনের হামলা, তীব্র বিস্ফোরণে আতঙ্ক পদ্মায় জেগে ওঠা চরের দখল নিতে হামলা, গুলিতে একজন নিহত কুড়িগ্রামে সাবেক কাউন্সিলরের মরদেহ উদ্ধার অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন আর নেই

আমেরিকার পর পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল রাশিয়াও

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে
রাশিয়া বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এই চুক্তিকে লঙ্ঘন করে না।

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের পর রাশিয়াও এখন নিজেদেরকে পরমাণু অস্ত্র রোধের এক চুক্তি থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। শীতল যুদ্ধের সময় করা এই চুক্তিটির নাম মধ্য-পাল্লার পরমাণু শক্তি চুক্তি যা সংক্ষেপে আইএনএফ নামে পরিচিত।

এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া এখন নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করবে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে সাময়িকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে।রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে এই চুক্তিটি সই হয়েছিল ১৯৮৭ সালে।

এই চুক্তিতে দুটো দেশের সব ধরনের পরমাণু অস্ত্রসহ স্বল্প ও মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

“আমাদের মার্কিন অংশীদাররা ঘোষণা করেছে যে তারা এই চুক্তি বাতিল করছে। এখন আমরাও সেটা বাতিল করছি,” বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে তিনি বলেছেন, এবিষয়ে তাদের সব প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনার জন্যে দরজা খোলা রয়েছে।

আজ শনিবার পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা জোট নেটোর মহাসচিব জেনারেল ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গ বিবিসিকে বলেছেন, ইউরোপের সবগুলো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে সম্মতি প্রকাশ করছে, কারণ রাশিয়া গত কয়েক বছর ধরেই এই চুক্তি ভঙ্গ করে আসছে। ইউরোপে তারা নতুন নতুন পরমাণু শক্তিধর ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে।”

রাশিয়ার নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র।রাশিয়ার নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই চুক্তি মেনে চলার ব্যাপারে রাশিয়াকে যে ছ’মাসের সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেটা তারা কাজে লাগাতে পারে।চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ রাশিয়া সবসময়ই প্রত্যাখ্যান করেছে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তিতে যে পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ আছে যে রাশিয়া সেগুলোর তৈরি করছে। তার মধ্যে রয়েছে ৫০০ কিলোমিটার থেকে ৫,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।

কোন কোন মার্কিন কর্মকর্তা এও বলেছেন যে রাশিয়া 9M729 ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করেছে, নেটোর কাছে যা SSC-8 নামে পরিচিত।

এসব তথ্য প্রমাণ ওয়াশিংটনের মিত্র দেশগুলোর কাছে তুলে ধরলে তারাও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে সমর্থন করেছে।

গত ডিসেম্বর মাসে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়াকে ৬০ দিনের সময় দিয়েছিল চুক্তির শর্ত মেনে চলার জন্যে। তারা হুঁশিয়ার করে দিয়েছিল যে অন্যথায় ওয়াশিংটনও এই চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য থাকবে না।

আই এন এফ চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া বরং বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউরোপে ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরোধী ব্যবস্থা স্থাপন করেছে যা এই চুক্তির লঙ্ঘন।

এরপর কী হতে পারে?

শনিবার প্রেসিডেন্ট পুতিন তার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেছেন। তাদেরকে বলেছেন, তারা এখন নতুন অস্ত্র তৈরিকে কাজ শুরু করবেন।

এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা যায় এরকম কালিবর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, নতুন হাইপারসনিক অস্ত্র। এসব হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি গতিতে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

আইএনএফ চুক্তিতে সই করছেন সোভিয়েতন নেতা মিখাইল গর্বাচভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানআইএনএফ চুক্তিতে সই করছেন সোভিয়েতন নেতা মিখাইল গর্বাচভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান।

তবে মি. পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ব্যয়বহুল অস্ত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে না এবং যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র মোতায়েন করার আগে তারাও কোথাও স্বল্প ও মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে না।

এধরনের অস্ত্র প্রতিযোগিতার ব্যাপারে ইউরোপীয় দেশগুলো সবসময়ই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

“এসব নতুন ক্ষেপণাস্ত্র এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বহন করা যায়। এগুলো শনাক্ত করা কঠিন। এগুলো পরমাণু শক্তিধর। ইউরোপের যেকোনো শহরেও আঘাত হানতে সক্ষম,” বলেছেন নেটোর মহাসচিব।

আইএনএফ চুক্তিতে কী আছে?

  • যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে এটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৮৭ সালে।
  • অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের এই চুক্তিতে সব ধরনের পরমাণু অস্ত্র এবং স্বল্প ও মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
  • রাশিয়ার এসএস-টোয়েন্টি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রও ক্রুজ মিসাইল স্থাপন করেছিল। এই ঘটনা ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভের জন্ম দেয়।
  • ১৯৯১ সালের মধ্যে প্রায় ২,৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়।
  • দুটো দেশকেই একে অপরের স্থাপনা পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ দেওয়া হয়।
  • রুশ প্রেসিডেন্ট ২০০৭ সালে ঘোষণা করেন যে এই চুক্তি রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষা করছে না।
  • এর আগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী এক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:বিবিসিবাংলা/এমএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com