আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও নিজ সংসদীয় এলাকা ঝালকাঠি জেলার পাকহানাদার মুক্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিয়ে নিজের পক্ষে ভোট চেয়েছেন আমির হোসেন আমু, এমপি। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর পরিপন্থি। আচরণ বিধিমালার বর্ণিত বিধান লঙ্ঘনের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১ঙ অনুযায়ী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে তার কাছে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চেয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
আমুকে লিখা চিঠিতে বলা হয়, ঝালকাঠি জেলা পাকহানাদার মুক্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষে উক্ত জেলাধীন নলছিটি উপজেলা পরিষদ হলরুমে ৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় এবং ঝালকাঠি পৌরসভার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে নির্ধারিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার জন্য এফ এম মাহমুদ (কিরন), শিল্পমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব স্বাক্ষরিত একটি ভ্রমণসূচি জারি করা হয়। উল্লিখিত সূচির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক, ঝালকাঠি ও রিটার্নিং অফিসার আপনাকে জানিয়েছিলেন যে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনি একজন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী।
অধিক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা হলে তা জনসাভায় পরিণত হতে পারে এবং ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর লঙ্ঘন হতে পারে। আচরণ বিধি লঙ্ঘন না হলেও এ ধরনের জনসমাগম গণমাধ্যমের কাছে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
এসত্বেও আপনি জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন এবং আপনার পক্ষে ভোট চেয়েছেন, যার ভিডিও এবং স্থিতচিত্র বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। উল্লিখিত কার্যক্রম সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর পরিপন্থি। আচরণ বিধিমালার বর্ণিত বিধান লঙ্ঘনের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১ঙ অনুযায়ী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এর আগে অবহিত করা সত্বেও ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ৩ সপ্তাহের পূর্বে নির্বাচনী প্রচারণাসহ আচরণবিধি পরিপন্থি কার্যক্রমের জন্য কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নম্বর-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে উল্লিখিত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে উল্লিখিত স্থান, তারিখ ও সময়ে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের অনুরোধ করা হয় তাকে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ