রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন এখনো চলছে অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভ, ৩ বাস ভাঙচুর সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: জেলেরা বলছেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের ভাঙ্গায় চেয়ারম্যানপ্রার্থীর উঠান বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর সিঙ্গাপুরে হঠাৎ মাথাচাড়া করোনার, আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল ওএমএস–এ গাফলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর এসএমই মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী একদল কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেলো যুবকের উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা বৃষ্টি হতে পারে সারাদেশে সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি: মেয়র তাপস গবেষকদের দাবি: ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোভ্যাক্সিনের টিকায়

আব্বাস দম্পতির আগাম জামিন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়া হয়েছে তাদের।

সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের এক সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।

আব্বাস দম্পতির পক্ষে আজ আদালতে ছিলেন অ্যাড. জয়নুল আবেদীন।

গেল ৭ জানুয়ারি আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছিলেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আফরোজা আব্বাস আয়কর নথিতে নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করলেও পাসপোর্টে নিজেকে গৃহিণী বলে উল্লেখ করেছেন। তার নিজের আয়ের কোনও বৈধ উৎস নেই। দুদকে জমা দেয়া আফরোজা আব্বাসের সম্পদবিবরণী যাচাইকালে দুদক তার ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদ পায়।

আফরোজা আব্বাস দুদকে যে সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছিলেন তা নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আফরোজা আব্বাস দুদকে দাখিলকৃত ২০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের উৎস হিসেবে এম এন এইচ বুলুর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ এবং মা-বাবা ও বোনের কাছ থেকে এক কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দান হিসেবে প্রাপ্ত হয়েছেন মর্মে উল্লেখ করেন। কিন্তু তার স্বপক্ষে কোনও দালিলিক তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।’

‘এ ছাড়া বাকি অর্থ অর্জনের স্বপক্ষেও কোনও রেকর্ডপত্র অনুসন্ধানকালে দেখাতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজের অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপনকরণের অসৎ উদ্দেশ্যে দালিলিক প্রমাণবিহীন ভুয়া ঋণ গ্রহণ দেখিয়েছেন।’

‘অনুসন্ধানকালে দুদকে দাখিলকৃত আফরোজা আব্বাসের সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার ৮ লাখ ৭০ হাজার ৭০৬টি, যার মূল্য ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের এক লাখ শেয়ারের মূল্য ১০ কোটি টাকা, এফডিআর ও ডিপিএস-এ বিনিয়োগ ১৪ লাখ ৯ হাজার ৯৫৮ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানিকে ঋণ প্রদান এক কোটি টাকা, আত্মীয়-স্বজনদের ঋণ প্রদান ৪৫ লাখ টাকা, হাতে নগদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স ৫ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার ক্রয় ৪২ লাখ ১১ হাজার ৮০৫ টাকাসহ মোট ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।’

দুদকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, মিসেস আফরোজা আব্বাসের নামে অর্জিত ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদ প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত। তাছাড়া মির্জা আব্বাস ১৯৯১ সালের আগে উল্লেখযোগ্য কোনও আয় ছিল না। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তারা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেন।

দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর, অবস্থান গোপন করায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ এর ১৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সূত্র: জাগোনিউজ।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com