শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্ত চলছে: ফায়ারের ডিজি উন্নয়নের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রাশিয়ার মিসাইলের আঘাতে ভূপাতিত হয় ওই বিমান শেষ দিনে ভিড় বেড়েছে, পছন্দের ফ্ল্যাট খুঁজছেন অনেকেই বিআরটিএ নির্ধারিত সিএনজি অটোরিকশার জমা ৯০০ টাকা কার্যকরের দাবি ৬ মাস ধরে নিখোঁজ বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর হওয়া উচিত : প্রধান উপদেষ্টা মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ নিহত ২ জাহাজে ৭ খুন: বিচারের দাবিতে কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা পঞ্চগড়ে টানা চারদিন দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ইয়েমেনের বিমানবন্দরে হামলা, অল্পের জন্য বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান গান পাউডার ব্যবহার হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখতে ‘বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ’ পানির ট্যাংকে লুকিয়ে ছিলেন আ. লীগের ‘ভাইরাল নেত্রী’ কাবেরী পাবনায় দাঁড়িয়ে থাকা করিমনে ট্রাকের ধাক্কায় তিন শ্রমিক নিহত, আহত ৫ নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যেখানে চলবে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা

আফ্রিকা-ইসরায়েল দেখেন, বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আফ্রিকা-ইসরায়েল দেখেন, বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আফ্রিকায় কদিন পরপর বিদ্রোহ হয়, সেটা থামাতে পারেন না। দুষ্ট ছেলে ইসরায়েলকে থামাতে পারেন না। নেতানিয়াহু তো কথা শোনে না। আমাদের নির্বাচন নিয়ে এত মাথা ঘামানো কেন? যুদ্ধ থামান, বড় বড় সংকট দেখেন, আমাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমরা তো পরাশক্তি হতে চাই না। আবার আমরা ভেনেজুয়েলাও না।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করবো। আমরা যা করবো, পরিপূর্ণভাবেই সংবিধান ফলো করেই করবো। দুনিয়ার অন্যান্য দেশে যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে। কে এলো কে এলো না, এটা আমাদের দেখার বিষয় না। কে নিষেধাজ্ঞা দিলো, সেটাও আমাদের হেডেক না। আমরা তো নির্বাচন করবো, নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য নয়, যারা বাধা দেবে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দেন।

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভা নির্বাচনকালীন ছোট কি বড় হবে এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি চাইলে, গতবারের মতো যেভাবে আছে সেভাবেও থাকতে পারে। এটাতে আমাদের কারও কিছু করার নেই। সেই মন্ত্রিসভার কার্যক্রম হবে, রুটিন ওয়ার্ক। মেজর কোনো পলিসি ডিসিশন নেবে না।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা আব্বাস চাঁদরাত দেখেছেন। কী দেখেছেন, ঝিনাইদহে কয়েকজন মানুষ দেখেছে। ফখরুল বলেছেন, অক্টোবরে নাকি আমাদের চলে যেতে হবে। আমি বলেছি, এই অক্টোবরে আছি, আগামী অক্টোবরেও থাকবো। জনগণ আমাদের চায়। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী সংকটে শক্তহাতে হাল ধরে আছেন, কেন তাকে ছেড়ে দিতে হবে? তার বিকল্প ভাবেন। শেখ হাসিনার বিকল্প আছে কি? সেটি ভাবতে হবে, সেই আলোকে ইশতেহার সাজাতে হবে।

এসময় ইশতেহার নিয়ে তিনি বলেন, ইশতেহার পড়ে কজন? সেটা খেয়াল রেখে করতে হবে। বুলেট পয়েন্ট দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আনতে হবে। ঢাউস কিতাব বা বিশাল বই পড়ার সময় কারও নেই। সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। সামনে কঠিন সময় জুঁই ফুলের গান গেয়ে লাভ নাই।

কাদের বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় আনতে হবে। বিএনপি এলে গণতন্ত্র থাকবে না। অ্যকশনমুখী ইশতেহার লাগবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর স্টাইলে ইশতেহার করেন। ক্লাইমেট চেঞ্জের বিষয়ে সামনে রাখতে হবে। ২০২৬ এবং ২০৪০ সাল মাথায় রাখতে হবে। ডিজিটাল হয়ে গেছে, এখন মাথায় স্মার্ট বাংলাদেশ। কীভাবে সর্বত্র স্মার্ট করা যায়, সেটা ভাবতে হবে।

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কাদের বলেন, ৭৭ বছরেও তার গতি দেখলে মনে হয়, গতিতে তিনি সত্যিকারার্থে অ্যারাবিয়ান হর্স। শেখ হাসিনা আল্লাহর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ।

এই সভায় নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ, সদস্য অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, শ ম রেজাউল করিম, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, শেখর দত্ত, ওয়াসিকা আয়েশা খান, বিপ্লব বড়ুয়া, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তারানা হালিম, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাজ্জাদুল হাসান, অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সায়েম খান, সাব্বির আহমেদ অংশ নেন।

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মূল ফোকাস শিল্পখাত। ছোটশিল্প প্রসারের পাশাপাশি ভারী শিল্পের দিকেও যেতে হবে। কৃষিতে ভর্তুকি থাকবে। সেবাখাতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব দেবো। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের এমনকি হিজড়াদেরও মৌলিক অধিকার পূরণ করা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com