বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের পর টেস্ট খেলুড়ে দল বাংলাদেশকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল আফগানিস্তান। মঙ্গলবার ভারতের দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দল। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন সামিউল্লাহ সেনোয়ারি। শেষ দিকে মাত্র ১৫ বলে ৩১ রান করেন মোহাম্মদ নবী। এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬৭ রান করে ৪৫ রাজের জয় পায় রশিদ খানরা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে মঙ্গলবারের পরাজয়ের বেশ কিছু কারণ ছিল। তার মধ্যে কয়েকটি হল-
টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফর্মেটে একটা কথা সবারই জানা, এখানে বল সংখ্যায় কম। তাই ব্যাটিংয়ের সময়ে কোনো ভাবেই ডট বল দেয়া যাবে না। আর সেটিই করে দেখালেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। ১২০ বলের মধ্যে ৫৬টি ডট বল হলে রান যে কত হবে তা আর হলফ করে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে যে উইকেটে খেলা হয়েছে, এদিনও সেই একই উইকেটেই খেলা হয়েছে। রাজীব গান্ধির এই উইকেটটি একবার ব্যবহার হওয়ায় আরও স্লো হয়ে গেছে। রান সংগ্রহ করা একটু কঠিন ছিল এটাতে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা একমত হবেন। তাই বলে এখানে ১৫০ রানও করা যাবে না তাতো হতে পারে না!
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া এদিনও ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করেছেন তামিমরা। আর এই ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করতে গিয়েই বালুর বাঁধের মতো ভেঙ্গে যায় বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইন আপ।
প্রথম দশ ওভারে তিন উইকেটে ৮১ রান সংগ্রহের পর মনে হয়েছিল চ্যালেঞ্জিং স্কোর হবে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পর, ১৬তম ওভারে রশিদ খানের গুগলিতেই সব শেষ হয়ে যায়। এই ওভারেই ৩ উইকেট তুলে নেন আফগান এই লেগ স্পিনার।
প্রথম ম্যাচে তিন উইকেট শিকার করা রশিদের ঘুর্ণিতে এদিনও বিপর্যস্ত বাংলাদেশ দল। মঙ্গলবার ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন রশিদ খান। মূলত এসব কারণেই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি।
প্রত্যাশিত বোলিংতো হয়ইনি বরং ফিল্ডিং হয়েছে যাচ্ছে তাই। ক্রিকেট বলাই আছে ম্যাচ জয়ে তিনটি জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো-ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং। এই তিন বিভাগে ভাল করতে না পারলে জয়ের আশা করাও বৃথা। আর এসবই প্রতিনিয়ত হয়ে আসছে টাইগারদের ক্ষেত্রে। যে কারণে অনেক ছোট দলের বিপক্ষেও অনেক বড় ব্যবধানে হারতে হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস