বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আজ মহাষ্টমী। সকালে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা শুরু হয়েছে ।
শ্রীরামকৃষ্ণের কথামৃতে বলা আছে- সব স্ত্রীলোক ভগবতীর এক-একটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। প্রথা ও নিরাপত্তার কারণে মেয়েটির নাম এবং পরিচয় পূজা সূচনার পূর্বাব্দী প্রকাশ করা হয় না। সব নারীতে মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার লক্ষ্য। সকালিই নির্দিষ্ট কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। ফুলের মালা চন্দন ও নানান অলংকার- প্রসাধন উপাচারে নিপুণ সাজে সাজানো হয় কুমারীকে।
ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠে মহাঅষ্টমী পূজা শুরু হয়েছে সকাল ৬টা ৩ মিনিটে। কুমারী পূজা শুরু হয়েছে সকাল ১১টায়। সন্ধিপূজা আরম্ভ হবে বিকেল ৫ টা ৩৯ মিনিটে এবং শেষ হবে ৬টা ২৭ মিনিটের মধ্যে।
মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণই হচ্ছে কুমারী পূজা। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনসহ কয়েকটি স্থানে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের তন্ত্রধারী স্থিরাত্মানন্দ মহারাজ (নিরঞ্জন মহারাজ) জানান, আমরা যে জগতমাতার (দেবী দুর্গা) আরাধনা করি তিনি সকল নারীর মধ্যে মাতৃরূপে আছেন। এ উপলব্ধি সকলের মধ্যে জাগ্রত করার জন্যই কুমারী পূজা । দুর্গা মাতৃভাবের প্রতীক আর কুমারী নারীর প্রতীক। কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠাই এ পূজার মূল লক্ষ্য।
দেবী দুর্গার সামনে বসিয়ে ঠিক যেভাবে তার (দুর্গার) আরাধনা করা হয়, একইভাবে কুমারীকে সে সম্মান প্রদান করা হয়। শুধু মাটির প্রতিমা নয়, নারীর মধ্যেও মাতৃভাব আনা হয়। বিশুদ্ধ স্বভাবের গুণাবলী দেখে একজন নারীকে কুমারী হিসাবে নির্বাচিত করা হয়, পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এন