বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: আজ ১ ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ দিবসটি পালন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন জনগণের অংশগ্রহণ’। ১৯৮৮ সাল থেকে এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বে এ দিবসটি পালন করে থাকে।
জাতিসংঘের এইচআইভি ও এইডস-বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডসের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন (৩ কোটি ৪০ লাখ) মানুষ এইডসে আক্রান্ত এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন (৩ কোটি ৫০ লাখ) মানুষ এ মরণঘাতী রোগে মৃত্যুবরণ করেছে।
১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম এ রোগ প্রকাশ পায় এবং একই বছরে দেশটির লস অ্যাঞ্জেলস রাজ্যের পাঁচ সমকামী এই রোগে আক্রান্ত হন। এক গবেষণায় জানা গেছে, সমকামীদের মধ্যে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। তারা এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতাসংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং গণমাধ্যমসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডস এর ঝুঁকি বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে হলে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সম্পৃক্ততা খুবই জরুরি।