ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে ব্রেক্সিট পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি অথবা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ব্যাপারে চূড়ান্ত ফায়সালা হয়েছে আগেই। এবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টে অনুমোদনের মাধ্যমে আইনে পরিণত হওয়ার পর আজ থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার ভোর পাঁচটা থেকে এ চুক্তি কার্যকর হয়। এর আগে গত বুধবার ( ২৩ ডিসেম্বর) কয়েক বছর ধরে চলা এই অচলবস্থার অবসান হয়। বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয় তারা।
প্রথমে দ্য ইইউ বিল এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের আইনে পরিণত হয়েছে। হাউজ অব কমন্সে ৫২১-৭৩ ভোটে বিলটি অনমোদন পায়। পরে হাউজ অব লর্ডসে অনুমোদিত হওয়ার পর ব্রিটিশ রানির সম্মতির মধ্যদিয়ে আইনটি কার্যকর হয়।
চুক্তি কার্যকর হওয়া নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘এই চুক্তির মধ্যদিয়ে যুক্তরাজ্য যেমন নিজের মতো করে বেড়ে উঠতে পারবে, তেমনি আবার একই সাথে উম্মুক্ত বাণিজ্যও করতে সক্ষম হবে।
এটি দুই পক্ষের জন্যই স্বাক্ষরিত সবচেয়ে বড় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি। ২০১৯ সালে এই অঞ্চলে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৪৭ বিলিয়ন ইউরো। ২০১৬ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। এরপর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তবে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ইইউ-ব্রিটেনের মধ্যে কীভাবে বাণিজ্য চলবে তা নিয়ে একটি চুক্তির আলোচনা চলছিল। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি সই না হলে দুই ব্লকের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা সমস্যা দেখা দিত।
চুক্তি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে গত সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন নিজেদের মধ্যে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন।
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্রেক্সিটের পর মাছ ধরার কোটা ব্যবস্থা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য ছিল। সে কারণে চুক্তিতে পৌঁছাতে এত সময় লেগেছে।
এদিকে চুক্তি সফল হওয়ার পর টুইটারে প্রতিক্রয়া জানান ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফন ডেয়ার লাইয়েন। তিনি একে ‘ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ’ চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের আইন ও ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে এনেছি।’ এটা পুরো ইউরোপের জন্য একটি ‘ভালো চুক্তি’।
বাংলা৭১নিউজ/এমএন