রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
রাজনৈতিক কারণে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে কমিটি ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন পলাতক আসামি মজনু গ্রেপ্তার তিন অতিরিক্ত আইজিপিসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর আবারও গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেনন-ইনু-মামুনসহ ৭ জনকে টাঙ্গাইলে টিসিবির ৪৯ বস্তা চাল জব্দ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ মেট্রোরেলের ১৮ দিনে আয় ২০ কোটি টাকা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের হাইকমিশনার ১৫ বছরে পুকুর-সাগর নয় মহাসাগর চুরি হয়েছে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত মারা গেলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় চীনা মেডিকেল টিম ৪ ডিআইজিসহ দশ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রীতি নষ্ট করতে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে একদিনে ঢাকায় ট্রাফিক আইনে ৭৩৪ মামলা, জরিমানা ৩১ লাখ সংসদ সচিবালয়: ক্ষতিগ্রস্ত অফিস কক্ষেই কাজ করছেন কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দিতে আদালতে পরীমনি মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে চিত্রার ভাঙন কক্সবাজারে ব্যাগভর্তি ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

আখচাষিদের স্বপ্ন তলিয়ে গেলো বানের জলে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া গ্রামের কৃষক নজির আহমেদ ৪২ শতাংশ জমিতে আখ (ইক্ষু) চাখ করেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। আখের ফলনও ভালো হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখেন তিনি। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, পুরো তিনলাখ টাকাই লোকসান হয়েছে তার। আর পরিশ্রম গেল বৃথা৷ জলে গেল তার স্বপ্ন।

নজির আহমেদের আখ ক্ষেতটি বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। আখ মরে না গেলেও দীর্ঘদিন পানিতে থাকায় দুর্গন্ধ হয়ে গেছে। যা খাবারের অনুপযোগী। 

মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এবং মোহাম্মদ নগর  গ্রামের বিস্তৃর্ণ জমিতে আখ চাষ হয়। লাভবান হয় কৃষকেরা। কিন্তু এবার লাভের বদলে অথৈ জলের তলে ডুবে রয়েছে তাদের ক্ষেত। এতে ওই এলাকার অন্তত ২০ জন চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সহায়সম্বল হারিয়েছেন অনেকে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে  যাদৈয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আখচাষি নজির আহমেদ সাঁতার কেটে ক্ষেত থেকে আখ তুলেছেন। কলাগাছের ভেলা চাপিয়ে সংগৃহীত আখগুলো রাস্তার পাশে নিয়ে আসেন। এ সময় আখের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এ চাষি।

তিনি বলেন, আল্লাহতায়ালা দিছে, আবার নিয়েও গেছে। আখের ফলন ভাল হয়েছে। একেকটা আখ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু এ আখ এখন কেউ খাবে না। পানিপচা গন্ধ ছড়াচ্ছে। বন্যা আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ৪২ শতাংশ জমিতে তিন লাখ টাকা খরচ করে চাষাবাদ করেছি। যে ফলন হয়েছে, চার লাখ টাকা বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু সব পানিতে পচে গেছে। আমার মতো এ এলাকার অনেক আখচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

একই এলাকার আখচাষি সফি উল্যা জানান, আখ চাষে তার দুই লাখ টকার মতো খরচ হয়েছে। এক টাকার আখও বিক্রি করতে পারেননি। বন্যার পানি আখ ক্ষেত ডুবিয়ে দিয়েছে।

যাদৈয়া এবং মোহাম্মদ নগর গ্রামের আখ চাষি আবু তাহের, আহম্মেদ উল্যা ও কালু মিয়ার চিত্র একই। এবার তারা আখচাষ করে বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তাদের এলাকার সব আখক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার অন্তত ২০ জন চাষি আখ চাষাবাদ করে। প্রতি মৌসুমে চাষাবাদ খরচ বাদ দিয়ে তারা লাভবান হতো। তা দিয়ে সংসার চলতো। কিন্তু বন্যার কবলে পড়ে আখচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা তাদের চাষাবাদের সম্বল হারিয়েছে। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com