বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জঙ্গিদের দল। জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ আছে।’
তিনি বলেন, ‘এদের কাছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র-গোলাবারুদ আছে। এদের ধরলেই সবকিছু পাওয়া যাবে।’
গতকাল সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সারা দেশে দখল-লুটপাট ও দমনের মহোৎসব চলছে। প্রেসক্লাব পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে। প্রেসক্লাবে সাংবাদিকেরা ইফতার মাহফিল করতে পারেনি। নির্বাচন দিতে ভয় পেয়ে গায়ের জোরে সব দখল করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় বসে আছে তারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। এবং একটি অনির্বাচিত জনধিকৃত সরকার। তাদের যদি সামান্যতম লজ্জা থাকতো তাহলে তারা ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিতো।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘বিচার বিভাগে নিরপেক্ষ বিচার পাওয়া যায় না। তাই ভালো আইনজীবী থাকা স্বত্ত্বে ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সময়ে হাসিনার ছিলো ১৫টি মামলা। আমরা ছিলো ৫টি মামলা। হাসিনার মামলা যদি উঠে যায় আমার মামলা চলে কীভাবে?’
‘হাসিনার নির্দেশে সবকিছু হয়েছে। হাসিনার ১৫টি মামলা কীভাবে উঠে যেতে পারে। তার মামলা উঠে গেলে অন্য কারো মামলা থাকতে পারে না,’ মন্তব্য করেন খালেদা।
তিনি আরো বলেন, ‘বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের প্রতি সরকারের কোনো বিশ্বাস তো নেই। বিচার বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে একটির পর এক কাজ করে যাচ্ছে। আদালত বলেছেন বিনা বিচারে সাদা পোশাকে কাউকে ধরা যাবে না। কিন্তু এখন তা প্রতিনিয়তই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মানুষদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
খালেদা বলেন, ‘শওকত মাহমুদ বিনা অপরাধে ১০ মাস জেল খেটেছে। মাহমুদুর রহমান কারাগারে আছে, গণগ্রেপ্তার করে বিএনপি ও সাধারণ মানুষ মিলে ১৫,০০০ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকলের মুক্তি দাবি করছি।’
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, কবি আল মুজাহিদী, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈয়মূর আলম খন্দকার, নিতাই রায় চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস