দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে আওয়ামী লীগ। ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’ প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে সম্মেলন করবে দলটি।
সম্মেলনে অতিথি ও কাউন্সিলর মিলিয়ে লক্ষাধিক লোক উপস্থিতির আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে কাউন্সিলরের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার, ডেলিগেটের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
এতে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও এবার বিদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও অর্থ উপ কমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফর উল্লাহ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের মঞ্চ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কমপক্ষে এক লাখ লোকের সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমাদের এবারের কাউন্সিলের প্যান্ডেলটা ‘ল’ শেপ হবে। এতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার লোকের বসার আয়োজন থাকবে। এবারের কাউন্সিলে মঞ্চটা হবে নৌকার আদলে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর বাইরে বিদেশের কোনও রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
তিনি বলেন, গত কয়েকটি সম্মেলন ছিল দুই দিন ব্যাপী। এবার একদিনের সম্মেলন হবে। প্রথম অধিবেশনের পরে দ্বিতীয় অধিবেশনের আগে নামাজ ও খাওয়ার জন্য একটা বিরতি হবে। তারপরই আমাদের দ্বিতীয় অধিবেশনে ৭ হাজার কাউন্সিলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি করা হবে। সেই অপেক্ষায় আমরা সবাই থাকব।
পরিদর্শন কালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার ও সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ